রিয়াদ / নভেম্বর 16, 2018
আমাদের ধারাবাহিক পর্ব গুলো পাবলিশ হাওয়ার পর অনেকের কমন কিছু প্রশ্ন ছিল কোথায় ডলার ভাঙ্গালে ভাল রেট পাওয়া যায়, সিম কার্ড কিনার নিয়মাবলি, আর কাঠামান্ডু/পোখারা থেকে পোখারা/কাঠামান্ডু বাসে যাওয়ার কিছু টিপস, আর কাঠমান্ডু/পোখারা সাইটসিয়িং কিভাবে করবেন।
নেপালের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস হলো পর্যটন। নেপালিরা হিন্দী বুঝে তাই আপনার হিন্দী, ইংরেজি জানা থাকলে খুব ভালো ভাবে কমিনিকেশন করে নিতে পারবেন। স্থানীদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম নেপালে ভ্রমণ সিজন অক্টোবর-ফেব্রুয়ারী/মার্চ পর্যন্ত।
এই সময়ে প্রচুর ভীড় থাকে এবং নেপাল অনেকটা ট্যুরিস্ট নির্ভর দেশ হওয়ায় এ সময়টাতে জিনিসপত্রের দামও বেশি থাকে। গুগল রিসার্চ করে জেনেছি সেপ্টেম্বর ১৫ থেকে ৩০ এই সময়টা নেপাল ভ্রমণের আদর্শ সময়। কারণ এই সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকে এবং অনেকটা অফসিজনই থাকে। তাই সবকিছু মোটামুটি কমে পাওয়া যায় এবং ভীড়ও কম থাকে।
যাত্রার দিন বাসা থেকে নের হাওয়ার আগে অবশ্যই “Nepal Rasta Bank” এর ওয়েবসাইট থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ রেট দেখে বের হবেন। ডলার এক্সচেঞ্জ ৩ জায়গা করতে পারেন।
নোটঃ থামেল ঘুরাঘুরি করে বেশি দাম ওয়ালা দোকানে ডুকে মূলাবেন, ডলার এক্সচেঞ্জ রেট দোকানে যা লেখা থাকবে দামদামি করলে তা থেকে ১ থেকে ১.৫ রূপি বাড়ানো যায়।
নেপাল টেলিকম আর এনসেল দুটি সার্ভিস প্রোভাইডার আছে। NTell শহরে এবং NCell পাহাড়ে-শহরে দুই জায়গাই ভাল কাজ করে। এনসেল আমাদের রবির মূল কোম্পানী Axiata এর।
নোটঃ যারা মনে করেন হোটেল wifi আছেই বা সিম কিনতে না চাইলে তাদের একটু ঝামেলা পড়তে হয়। যেমন ড্রাইভার সাথে যোগাযোগ, ট্যুর ম্যানেজার সাথে যোগাযোগ, দলের অন্য সদস্যদের সাথে যোগাযোগ ইত্যাদি।
থামেল থেকে পোখারা বাস বুকিং জন্য আপনি অনেক এজেন্ট পাবেন, থামেলের ওলিতেগলিতে সব এজেন্ট। বিকল্প হোটেল মেনেজার হেল্প নিতে পারেন প্রায় সব হোটেল এই সার্ভিস দিয়ে থাকে।
নোটঃ প্রায় সব বাসে WIFI লিখা থাকে কিন্তু অনেক গুলো দেখলাম WIFI কি তারে ভাল করে বুঝেই না। যেসব জায়গা বাস বিরতি দিয়ে থাকে সাধারণত ওই সব দোকান/হোটেল গুলোতে খাবার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।
নেপালের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস হলো পর্যটন। ফলে থাকা-খাওয়া, ঘুরা এই সব জন্য বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা করে রেখেছেন নেপালবাসী। তেমনি সাইটসিয়িং জন্য বেশ কিছু মাধ্যেম রয়েছে।
কাঠমান্ডুতে যা যা দেখতে পারেনঃ
পোখারা যা যা দেখতে পারেনঃ
উপরের জায়গা গুলো ছাড়াও আর কিছু বিশ্বঐতিহ্য আছে। যেগুলো এখন ভূমিকম্পে ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রায়। বুকিং দেয়ার সময় ডলার হিসাবে বুকিং দেয়া হয়। পেমেন্টও ডলার হিসাবে ওরা কনভার্ট করিয়ে নেয়, ডলারের রেট যদি কমে যায় তাহলে আপনার লাভ হবে আর যদি রেট বেড়ে যায় তাহলে একটু বেশি লাগবে।
অবশ্যই এই পর্ব আপনাদের কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আর হ্যাঁ, আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে জানাবেন।
আমাদের নেপাল ভ্রমণ গাইড সিরিজ পোস্ট এর লিঙ্কঃ
FILED UNDER :ভ্রমণ
Comments are closed.
Comments