Abdul Kader / নভেম্বর 9, 2020
(লেখা কপি করার কারণে এই লেখক কে বাংলা ভাইব থেকে ব্যান করা হয়েছে। আর এই লেখার মূল সোর্স এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=grayYWuUM7w)। আমাদের অগোচরে প্লাগারাইজড কন্টেন্ট সাইটে পাবলিশ হয়ে যাওয়াতে আমরা অডিয়েন্সের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)
আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই ঘুম নিয়ে একটি কমন সমস্যা দেখা যায়। সমস্যাটা অনেকটা এমন যে আপনি সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বাসায় ঢুকলেন, ফ্রেশ হলেন, খাওয়া-দাওয়া করলেন, এরপর ঘুমাতে গেলেন, লাইট অফ করলেন এবং চোখ বন্ধ করলেন কিন্তু তারপর ঘুম আসলো না। কিছুক্ষণ আগেও রাজ্যের ঘুম আপনাকে তাড়া করছিল। কিন্তু এখন তার কিছুই নেই। আপনি বিছানায় কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করলেন। আরামদায়ক পজিশন খুঁজে বের করলেন। কিন্তু কোনো লাভ হলো না। ঘড়ির কাঁটা যতই অতিবাহিত হচ্ছে আপনার দুশ্চিন্তা ততোই বাড়ছে এবং মনে মনে ভাবছেন, ঘুমাতে না পারলে কালকের দিনটি খুবই খারাপ যাবে। অফিসে কিংবা ক্লাসে কতো সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় কিন্তু রাতে বিছানায় কেন সেটা হয় না? এমন অনেক চিন্তা করতে থাকেন। আর এরই মধ্যে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখেন রাত ৩ টা বেজে গেছে।
যদি এই ব্যপারগুলো আপনার কাছে পরিচিত মনে হয় তবে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ, আপনাকে এমন টিপস-এন্ড-ট্রিকস দিতে চলেছি যেটা ফলো করলে আপনি খুব সহজেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। চলুন শুরু করা যাক-
আপনার চারপাশের পরিবেশ বিশেষ করে আপনার বিছানা বালিশ ইত্যাদিতে পিঠ লাগানোর পর যদি গরম অনুভূত হয় তবে এটি আপনার ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও আপনার রুমের ভেতর যদি পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে না পারে তবে সেটা আপনার ঘুমের উপর প্রভাব ফেলবে। স্বাভাবিকভাবে ঘুমানোর জন্য আপনার শরীরের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে হয়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ঠান্ডা পরিবেশের গুরুত্ব অনেক। আপনি হয়তো শুনে একটু হতাশ হবেন, যে ঘুমানোর জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটা আমাদের দেশে শুধু এয়ার কন্ডিশনিং রুমেই সম্ভব।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে ঠান্ডা পানির তুলনায় হালকা গরম পানিতে গোসল করলে, গোসল শেষে শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত ঠান্ডা হয় এবং শরীর তখন ঘুমের জন্য প্রস্তুত হয়।
বারবার ঘড়ি দেখা আর কয় ঘন্টা ঘুমালাম তার হিসেব করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটা শুধু শুধুই দুশ্চিন্তা বাড়ায়।
ঘুমানোর আগে কফি চকলেট এমনকি কিছু চা এবং ধূমপান ঘুমের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
এটিই হচ্ছে দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায়। অফিসে কিংবা স্কুল-কলেজে বা অন্যান্য কাজে যাওয়ার আগে যদি আপনি কিছু সময় এক্সারসাইজ করেন তবে এটি আপনাকে সারাদিন যেমন চঞ্চল রাখবে তেমনি রাতে ঘুমাতেও সাহায্য করবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দুপুরে যদি হালকা ঘুম পায় তবে সেটা ৩ টার আগেই সেরে নিন। ভুলেও যেন ৩ টার পরে না ঘুমান। কারণ, এটি রাতের ঘুমের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে আপনি রিল্যাক্স হয়েছেন কিনা সেটা নিশ্চিত করুন। কেননা আপনি যদি কোনো কাজ অসমাপ্ত করে রেখে আসেন অথবা বাহির থেকে এসে শুয়ে পড়েন তবে আপনার ঘুম আসতে অনেক দেরি হবে। ঘুমের আগে নিজেকে রিল্যাক্স করুন। প্রয়োজনে একটি বই নিয়ে কয়েক পৃষ্ঠা পড়তে থাকুন। এটা আপনাকে ঘুমের জন্য মাইন্ডকে প্রস্তুত করবে।
যদি আপনার ঘুমানো সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হলেও সূর্যের আলোয় যেতে হবে। এটা আপনার মস্তিষ্ককে দিন এবং রাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে। ফলে, রাতে অটোমেটিকলি ক্লান্তি এনে দেবে। এছাড়াও শুয়ে পড়ার পর মোবাইল হাতে নেওয়া ঘুমের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই মোবাইলের সকল কাজ ঘুমানোর কিছুটা আগেই সেরে রাখুন।
ধরুন, আপনাদের অনেকেই আগে থেকেই উপরের বেশ কয়েকটি টিপস ফলো করেছেন। তারপরও ঘুম আসছে না। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো ৭ নাম্বার রুলসটা ভঙ্গ করেছেন- শোয়ার পর ফোনের দিকে না তাকানো!
এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার জন্য সামরিক বাহিনীদের ব্যবহৃত কিছু টেকনিক। তাদের মতে, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি মাত্র ২ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন। একজন পাইলট চাইলে এই টেকনিককে চলন্ত বিমানে বসেও মাত্র ২ মিনিটেই ঘুমিয়ে পড়েন।
এই পদ্ধতিগুলো শুনতে সাধারণ মনে হলেও এগুলো অনেক পাওয়ারফুল। এগুলোকে অনেকটা মেডিটেশনও বলা হয়। প্রথম রাতে এগুলো তেমন কার্যকর না হলেও যদি প্রতিদিন প্র্যাকটিস করতে থাকেন তবে বুঝতে পারবে এগুলো কতটা পাওয়ারফুল।
এছাড়াও আরেকটি টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করছি – প্রতিদিন যখনই ঘুমাতে যান না কেন, একটু সকাল সকাল একই টাইমে ওঠার চেষ্টা করুন। এমনকি ছুটির দিনেও। জানি এটা আপনাদের জন্য খুবই কষ্টকর কিন্তু আমরা মানব জাতি অভ্যাসের দাস। আর কষ্ট করে এই অভ্যাস টা করতে পারলে আপনি আপনার জীবনে অনেক ক্ষেত্রে সফলতা পাবেন।
আরো পড়তে পারেন: ঘুমের অলসতা যেভাবে দূর করবেন
FILED UNDER :লাইফস্টাইল , স্বাস্থ্য কথন
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ