মাহবুবা হক / জুন 15, 2020
এমব্রয়ডারি আমাদের সবার প্রিয় একটি ব্যাপার। নিজের পছন্দের পোশাক কিংবা গৃহসজ্জার উপকরণে মনের মত ডিজাইন করতে আমরা সবাই পছন্দ করি। এখানে আমি কিছু বেসিক টিপস দিবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। কি কি এমব্রয়ডারি শিখতে চান প্লিজ কমেন্টে জানান।
এক্ষেত্রে আমরা সুতি যে কোন সুতা নিতে পারি। আমি একটি ফুলের ভেতরের অংশ করার জন্য সবুজ রঙ নিয়েছি। আপনি চাইলে যে কোন রঙের নিতে পারেন। লাল, কমলা রঙ হলে বেশী ভালো লাগবে।
প্রথমে ফুলের ভিতরের লাল বৃত্তটিতে সোজা কিছু লাইন করি সুতা দিয়ে। এরপর বিপরীত দিক থেকে আবার আরাআড়ি করে কিছু লাইন করতে হবে। অনেকটা পাটি বোনার মতো। চেক একটা ব্যাপার হবে।
এরপর একটি পিন নিবো। এক্ষেত্রে আপনি হিজাব পিন নিতে পারেন। পাপড়ির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হিজাব পিন টিকে চিত্রের মতো করে তুলে আনি।
এরপর পিনের পেছন থেকে সুতা ঘুরিয়ে এনে পাপড়ির মাঝামাঝি সুইটিকে তুলে আনি। একভাবে আমরা তিনটি সুতার লাইন পাবো। চিত্রের দিকে খেয়াল করুন।
এবার এই তিনটি লাইন কে কেন্দ্র করে আবার পাটির মত বুনে যাবো সুঁই একবার নিচে একবার উপরে তুলে এনে।
এভাবে যে পাপড়ি বুনা হবে, খেয়াল করুন তা কিন্তু কাপরের সাথে পুরো পুরি লেগে নেই। শুধু বৃত্তের সাথে সংযুক্ত অংশ কাপড়ের সাথে লেগে আছে। আর পাপড়ির শীর্ষভাগ উপরে উঠে থাকবে।
পুরোটা বুনা হলে সুতার প্রান্ত ভালোকরে আটকে নিবো নট করে। এরপর পিন টি খুলে নিবেন।
এভাবে খুব অল্প সময়ে আপনি সুন্দর একটি ফুল করতে পারবেন। আপনি চাইলে কয়েক লেয়ারের পাপড়ি করতে পারেন। সবার নিচের অংশে বড় পাপড়ি করে আস্তে আস্তে উপরের দিকে ছোট পাপড়ি করলে খুব সুন্দর একটু সিকুয়েন্স তৈরি হবে আসল ফুলের মতো। নিচের দিকের পাপড়ির রঙ হালকা রাখবেন। আর উপরের দিকে আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসা পাপড়ি একই শেডের গাঢ় রঙের করুন।
কমেন্টে জানাবেন কেমন লেগেছে এই এমব্রয়ডারি ডিজাইনটি। আর আপনি যদি নিজে চেষ্টা করে থাকেন তাহলে তা আমাদের দেখাতে পারেন।
FILED UNDER :পাঁচ মিশালী , লাইফস্টাইল
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ