নারিকেল চিংড়ি দিয়ে খেসারি ডাল ভুনা
রান্নায় নারিকেল এর ব্যবহার আমাদের কাছে নতুন কিছু না। যে কোন কিছুর মালাই কারী রান্না করতে নারকেল দুধ আমরা সবাই ব্যাবহার করি। নারকেল কোরাও ব্যবহার করে থাকি রান্নায় আমরা অনেকেই। চলুন আজ জেনে নেই নারিকেল এবং চিংড়ি দিয়ে কিভাবে খেসারি ডাল ভুনা করবেন।
নারিকেল চিংড়ি দিয়ে খেসারি ডাল ভুনা
খেসারি ডাল রান্নার পর এর সাথে ডালের মধ্যে শুকনা মরিচ ভেজে দিলে অনেক ভালো একটা ফ্লেবার আসে। এই ডাল আর মরিচ গরম ভাতের সাথে মেখে নিলে খুব মজা লাগে।
রেসিপিঃ
উপকরনঃ
১)খেসারি ডাল —২৫০ গ্রাম,
২) নারিকেল কোরানো — ১ কাপ,
৩) চিংড়ি মাঝারি সাইজ ২৫০ গ্রাম,
৪) পেঁয়াজ কুচি — হাফ কাপ,
৫) আদা বাটা –১ টেবিল চামচ,
৬) রসুন বাটা — ১ টেবিল চামচ,
৭) মরিচ গুড়া — ২ চা চামচ/পরিমান মত,
৮) হলুদ গুড়া —- ১ চা চামচ / পরিমান মত,
৯) জিরার গুড়া — ১ চা চামচ,
১০) তেজপাতা — ২ টি,
১১) তেল —৪ টেবিল চামচ,
১২) লবন — পরিমান মত,
১৩) টালা শুকনা মরিচ ৬/৭ টি
প্রণালিঃ
১।খেসারি রান্নার আগে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন, তারপর ভাল করে ধুয়ে নিন।.
২। কড়াই চুলায় বসিয়ে আগুন মাঝারি আঁচে সেট করুন,
৩।কড়াই গরম হলে তেল দিন, তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিন, নাড়তে থাকুন,
৪।পেঁয়াজ বাদামি রং হয়ে এলে আদা বাটা, রসুন বাটা দিন, নাড়ুন,
৫। ১ মিনিট পর হলুদ, মরিচ ও জিরা গুড়া দিন, একটু পানি দিন, ভাল ভাবে কষিয়ে নিন, কাঁচা মসল্লার গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত কষান।
৬। লবন দিন, তেজপাতা দিন, এবার কোরানো নারিকেল দিয়ে ৩ মিনিট কষান,
৭। চিংড়ি মাছ দিন ৩ মিনিট কষিয়ে ২ কাপ পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
৮। ৪ মিনিট পর ডাল দিন, নেড়ে ঢেকে দিন, ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে টালা শুকনা মরিচ দিয়ে দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন।
৯। ডাল থকথকে হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
হয়ে গেল খুব মজার স্বাদের “নারিকেল চিংড়ি দিয়ে খেসারি ডাল ভুনা “। যে কোন বাঙ্গালী উৎসবে রান্না করে পরিবেশন করতে পারবেন।