সুখী ও সফল মানুষের ১০ টি গুণ 

আমাদের জীবনে অনেক সময় আসে যে সময়ে আমাদের কোনো কাজেই মনে বসে না, কিছুই ভালোলাগে না। খেতে ভালোলাগে না, ঘুরতে ভালোলাগে না, কথা বলতে ভালোলাগে না। আমরা ঐ সময়টায় খুবই ডিপ্রেসড থাকি। আমরা অসুখী থাকি। আর এই জিনিসগুলো আমাদেরকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায় ।
এই লেখার মাধ্যমে জানতে পারবেন সুখী ও সফল মানুষদের কিছু অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো নিজের মধ্যে আনার মাধ্যমে আপনিও সুখী ও সফল হতে পারবেন ।

১. পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি

আমাদের স্বভাব ই এমন হয়ে গেছে আমরা সবকিছুতে খারাপ দিক খুঁজে বেড়াই। আপনি যদি ১০ টা কাজ করেন তাহলে এর মধ্যে ২-৪ টা কাজে আপনি ব্যর্থ হতেই পারেন ।  আপনি সবসময় সফল হবেন না এটাই স্বাভাবিক ।  কিন্তু আমরা এই স্বাভাবিক জিনিসকে নিতে পারি না। সফল হওয়া ৮ টা কাজ ভুলে যাই আর ব্যর্থ হওয়া ২ টা কাজই আমাদের সামনে এসে বারবার ধরা দেয়। অন্যদিকে , সফল লোকেরা নিজের সফলতাকে দেখিয়ে নিজেই নিজেকে অনুপ্রেরণা দেয় ।  এই অনুপ্রেরণা তাদেরকে আরো এগিয়ে যেতে সাহায্য করে ।

২.নিজেকে জানা

সফল হতে গেলে নিজেকে জানার কোনে বিকল্প নেই। নিজের স্ট্রং ও উইক দিকগুলো অব্যশই জানতে হবে। বলা হয়,
Happy people, and successful people, are in tune with themselves. 

৩. বিশ্রাম নেয়া

অনেকেই বলবে, এইটা কেমন পয়েন্ট?
আসলে সফলদের যেমন প্রতিটা কাজের জন্য শিডিউল থাকে তেমনি বিশ্রাম নেবার ও আলাদা সময় থাকে ৷ বিশ্রাম মানুষকে নতুন করে কাজ করার অনুপ্রেরণা যোগায়। মনকে সতেজ রাখে, ১০০%  ইফোর্ট দিতে হেল্প করে ।

৪. যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা

আমরা মনে করি সফল মানেই শুধু কাজের পিছনে, টাকার পিছনে দৌড়াবে৷  সত্যিকারে কিন্তু এমনটা নয়। সফলরা তাদের বর্তমান নিয়ে থাকে। তারা বড় জিনিসের পিছনে দৌড়ানোর জন্য বাঁচে না। তারা যা আছে তা নিয়েই জীবনকে উপভোগ করে ।

৫. আবেগ অনুভূতিগুলো অনুভব করা

প্রতিটা মানুষের আবেগ থাকে। আবেগ -অনুভূতি যার নেই, তাকে সুস্থ মানুষ বলা যায় না। যার মন আছে তার আবেগ , অনুভূতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যার একটা সুন্দর মন আছে সে যেমন অন্যের আবেগ বুঝতে চেষ্টা করে তেমনি ভাবে নিজের আবেগ কেও অনুভব করতে চেষ্টা করে।

৬.তারা জানে কোন জিনিস তাদের আনন্দ দিবে

এইটাও নিজেকে চেনারই একটা অংশ। নিজেকে চিনতে পারলে সুখী হওয়া অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তারা সময় নিয়ে বের করে কোন জিনিসে তারা সুখ পাবে। ঐ জিনিসই করে।

৭. তারা আলাদা থাকে

কিছু সময়ের জন্য তারা আলাদা হয়ে যায়। নিজেকে নিয়ে ভাবে, নিজের জন্য কাজ করে,  নিজেকে গঠন করে। সোশ্যাল মিডিয়ার নকল জগত থেকে তারা যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখে। এটা তাদের মেন্টাল স্বাস্থ্য ভালো রাখে ।

৮. তারা মানুষকে সাহায্য করে

মানুষকে সাহায্য করা হলো নৈতিক গুন। মানুষকে সাহায্য করলে আত্মিক শান্তি পাওয়া যায়, সুখী হওয়া যায়। তারা সবসময় মানুষকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করে ।
একদম সঠিকভাবে কোন সফল মানুষ বা সুখী মানুষ কি করে তা বের করা মুশকিল। তবে সাধারনভাবে উপরিউক্ত কাজগুলো একজন সুখী বা সফল মানুষ করে থাকে।
চলুন আমরাও এই গুণ গুলো আমাদের মধ্যে নিয়ে এসে জীবন কে সুন্দর করার  চেষ্টা করি ।

Similar Posts