শিক্ষাজীবনে অর্থ উপার্জনের সেরা ৭টি উপায়

শিক্ষাজীবন শুধু পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনের জন্য নয়। আপনি চাইলে পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন ও করতে পারেন। আমরা অনেকেই তা করি আবার অনেকের পরিবার চলে এই উপার্জনের মাধ্যমে। আপনার যদি কিছু দক্ষতা থাকে তবে সেই দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আজকে সেই সেরা ৮টি  বিষয় নিয়ে লিখবো যার যেকোন একটি উপর আপনার মোটামোটি ধারণা থাকলে আপনি বেশ ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

টিউশনিঃ এটি আমাদের দেশের খুবই প্রচলিত একটি উপায় এবং এর চাহিদা দিন কে দিন বাড়ছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর সাথে বেশি জড়িত তবে আপনার যদি ভালো বুঝানোর দক্ষতা থাকে তাইলে আপনি একজন ইন্টারমিডিয়েট এর শিক্ষার্থী হয়েও পড়াতে পারেন একজন ৭ম অথবা ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে।
এখন প্রশ্ন আসে কিভাবে টিউশনি পাব? খুব সহজ। আপনি শুরুতে একটি পোস্টার লাগিয়ে দিলেন আপনার এলাকায়, আশা করি এক মাসে বা তার চেয়ে কম সময়ে পেয়ে যাবেন। এছাড়া এখন অনেক টিউশন এজেন্সি আছে যারা টিউশনি দিয়ে থাকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

finance-tips-for-students

ইউটিউবিংঃ এটিও বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আজকাল অনেলেই ইউটিউবিং করছে। আপনি যা পারেন তারই টিউটোরিয়াল দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। ধরুন আপনি গিটার বাজাতে পারেন অথবা গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা রান্না, এসব কিছুরই টিউটোরিয়াল দিয়ে আপনি ডলার কামাতে পারেন। ইউটিউবে ইনকাম করার জন্য যা দরকার তা হলো ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ভিউটাইম। এরপর আপনার চ্যানেল ইনকাম করার জন্য প্রস্তুত।

লেখালিখিঃ লেখালিখিও টাকা উপার্জনের একটি সুন্দর পদ্ধতি। আপনার যদি এই দক্ষতাটি থাকে তাইলে আপনি যেকোন পত্রিকাতে লেখালিখি করে উপার্জন করতে পারেন। নিজের গল্প, কবিতার বই বের করে উপার্জন করতে পারেন। আজকাল অনলাইনে অনেক নিউজপোর্টাল হয়েছে ,অনেক পেইজ আছে। এর যেকোন জায়গায় আপনি লেখালিখি করে ইনকাম করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিংঃ এই কাজটা আমরা অনেকেই করি। এটা খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি টাকা উপার্জনের জন্য। এই ফ্রিল্যান্সিং বিভিন্ন রকমের হতে পারে। আপনি যদি কোডিং পারেন তবে আপনি দেশে ও দেশের বাইরে যে কোম্পানীর জন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন কোম্পানীর সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন অ্যাপস তৈরি করেও উপার্জন করতে পারেন। আপনি চাইলে বাংলাদেশে বসে আমেরিকার একজন স্টুডেন্ট এর অ্যাসাইনমেন্ট করে দিতে পারেন। পারেন কারো সিভি লিখে দিতে।আপনি যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তাইলে অটোক্যাড দিয়ে বাড়ি ডিজাইন করে দিতে পারেন। আপনি আমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ দিতে পারেন। এতে করে ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন।

ছোট ব্যবসাঃ আপনি ছোট ব্যবসা দিয়েই শুরু করতে পারেন। এই ছোট ব্যবসা আস্তে আস্তে আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।এখন কথা হলো কি ব্যবসা করা যায়? অনেক উপায় আছে। আপনি চাইলে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন, এটা আজকাল খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন কুটিরশিল্পে যদি পারদর্শী হন তাইলে সেটাও অনলাইনে দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। আপনি যদি ভালো জিনিস সাপ্লাই দিতে পারেন তাহলে আপনি জনপ্রিয়তা লাভ করবেন এবং আর আপনাকে পেছনে তাকাতে হবে না। কয়েকজন মিলে একটা রেস্টুরেন্ট দিতে পারেন। আজকাল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা করে অনেকে লাভবান হচ্ছেন।

ডিজাইন এবং এডিটিংঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান সময়ে খুব জনপ্রিয় একটি জিনিস।আ র এখন মানুষ সবকিছুরই ভিডিও পছন্দ করে তাই ভিডিও এডিটিং এর চাহিদাও এখন খুব বেশি। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন পারলে যেকোন অনুষ্ঠানের পোস্টার, ব্যানার ডিজাইন করে টাকা কামাতে পারেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অনেকের ইউটিউবের ভিডিও এডিট করেও টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ফটোগ্রাফিঃ ছবি তোলা মানুষের একটি শখ। আমরা সবাই ছবি তুলতে পছন্দ করি। এই বিষয়ে আপনি যদি দক্ষ হন, তাহলে আপনার চাহিদা অনেক। আপনি বিভিন্ন জায়গায় কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে জনপ্রিয়তা এবং টাকা দুটোই অর্জন করতে পারেন। বিভিন্ন বিয়ে, গায়ে হলুদ, সমাবর্তন এছাড়াও আরো অনেক অনুষ্ঠান কভার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

এজেন্সি জবঃ দেশে আজকাল এজেন্সির অভাব নাই। আপনি আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্সিতে পার্ট টাইম জব করতে পারেন।

Similar Posts