সফল হতে হলে যে ১০ টি কাজ করা উচিত নয়

যখন আপনি কোনে কাজ শুরু করবেন এবং আপনার টার্গেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবেন  তখন অনেক ধরনের বাধা আসবে। কিছু সমস্যা হয়তো আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন না যেগুলোকে একদম দৈবের উপর ছেড়ে দিতে হবে। আর কিছু সমস্যা আছে যেগুলোকে আপনি চাইলেই পজিটিভলি কনভার্ট করতে পারেন ।
এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনাকে যে জিনিসগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে।

১. দীর্ঘসূত্রিতা বা কাজ ফেলে রাখা

এমন কি হয় না যে, একটা কাজ আমি এখনই চাইলে করতে পারি, কিন্তু করি না। ভাবি আরেকটু পরে করবো। এভাবে আরেকটু পরে করতে করতে আমরা অনেকটা সময় ধরে কাজটি ফেলে রাখি । অথচ, কাজটি শুরু করলে হয়তো কিছু সময়ের মধ্যেই কাজটি শেষ করে ফেলা যেতো ।
লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে প্রথমেই “দীর্ঘসূত্রিতা” – কে বিদায় জানাতে হবে ।

Difference in Success and Failure

 

কখনো হতাশ হবেন না
কখনো হতাশ হবেন না

২. হতাশা

হতাশবাদী (Pessimistic)  মানুষেরা  সম্ভাব্যতা থেকে অসম্ভাব্যতাকে গাঢ় করে দেখে। তারা কখনো বিশ্বাস করে না জীবনে খারাপ কিছু ঘটতেই পারে ৷  তারা সব কিছুতেই হতাশ হয়ে যায় । কারণ তাদের পয়েন্ট অব ভিউ থাকে নেগেটিভের দিকে ৷

সফল হতে হলে, কোনো কাজ করার পর এর ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করে নিজেকেই বাহবা দিতে হবে। কখনোই হতাশবাদী হওয়া যাবে না।

৩. অন্যকে অনুসরণ করা

অনেকেই দেখে তার পাশের একজন লোক সুন্দর একটা জিনিস করছে৷  দেখে সে ও আগ্রহী হয়ে না বুঝে, না জেনে ঐ লোকের মতো কাজ করা শুরু করে দেয় । যা কখনো করা উচিত নয় । আপনার যদি ঐ জিনিসের প্রতি আগ্রহ থাকে তাহলে ঐ লোককে অনুকরণ না করে একদম বেসিক থেকে শুরু করেন,  ঘাটাঘাটি করেন,  গবেষণা করেন,  প্রচুর প্র্যাকটিস করেন ।  শুধু অন্ধভাবে ঐ লোককে অনুকরণ করবেন না।

 

কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না
কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না

৪.নিজের সীমাবদ্ধতা জানা ও বিশ্বাস করা

কোনো লক্ষ্য ঠিক করার আগে এ বিষয়ে গবেষণা করতে হবে । আপনার নিজের সম্পর্কেও গবেষণা করতে হবে।  এরপর এই লক্ষ্য কি আপনার জন্য ঠিক আছে কি না তা নির্ধারণ করতে হবে।
আমরা প্রায়শই এই ভুলটা করি৷  নিজের স্ট্রং জোন, উইক জোন না জেনেই কাজ শুরু করে দেই৷  এরপর থেকে  কোনো কাজ শুরু করতে গেলে অব্যশই নিজের সাথে কাজের তুলনা করে নেবেন ।

৫. প্রেরণার অভাব

আমরা প্রায়ই কাজ খুবই উদ্দীপনা, সাহস ও প্রেরণা  নিয়ে শুরু করি। আস্তে আস্তে সময় যত বাড়ে ততই আমাদের প্রেরণার অভাব দেখা দেয়। অথচ এটা হওয়া উচিত না ।
লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করার পর থেকে লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত একই রকম প্রেরণা রাখতে হবে ।

 

বিশ্বাস রাখুন , স্বপ্ন দেখুন
বিশ্বাস রাখুন , স্বপ্ন দেখুন

৬. ধারাবাহিকতার অভাব

যেকোনো কাজে ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।  ধারাবাহিকতার অভাবে কাজ অনেকটুকু গিয়েও সফলতার মুখ দেখে না ।  তাই, পরিমানে কম করে হলেও প্রতিদিন কাজ চালিয়ে নেয়া উচিত ।

৭. অনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য

প্রতিটা কাজের ই উদ্দেশ্য থাকে। যেমন আমি ব্যায়াম করি কারণ আমাকে সুস্থ থাকতে হবে । চিন্তা করেন, আমার সুস্থ থাকার কোনো ইচ্ছেই নেই,  কিন্তু আমি প্রতিদিন ব্যায়াম করে যাচ্ছি । এটা কি হতে পারে? সম্ভব না।
এজন্য, আপনি যখন কেনো কাজ করবেন কাজের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভালোভাবে শিওর হয়ে নিবেন। এতে কাজে অনুপ্রেরণা পাবেন।

৮. আসল লক্ষ্যের বদলে ভুল লক্ষ্যে মন দেয়া

ধরেন, আপনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আপনার লক্ষ্য হলো A+ পাওয়া। এখন টেস্ট পরীক্ষায় অনেক পড়াশোনা করে A+  পেয়ে ভাবলেন  A+ তো পেয়েই গেছি। ভাবলেন আপনার লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেছে। আসলেই কি হয়েছে? আপনার আসল লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে ।

৯. সহজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলা

আপনি যদি কষ্ট করে কোনে কাজ করেন তাহলে কাজটি শেষ করার পর আনন্দ পাবেন। কিন্তু যদি আপনার কাজে কোনো বাধাই না আসে তাহলে কষ্ট করবেন কি?
অনপক কষ্ট, বাধা-বিপত্তি পার হয়ে একবার সফল হয়ে দেখেন কতটা আনন্দ পাওয়া যায়।

১০. শর্টকাট নেয়া

সফলতার কোনো শর্টকাট নেই। সফল হতে হলে আপনাকে অনেকটা বন্ধুর পথ হাঁটতে হবে। আর,যদি শর্টকাটের পিছনে পড়ে থাকেন তাহলে ঐ সময়টুকু শুধু আপনার জীবন থেকে ভ্যানিশ হয়ে গেলো। আর কিছুই না ।

কোনো কাজ শুরু করার সময় এবং লক্ষ্যে পৌঁছানো পর্যন্ত এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখে সৎভাবে চেষ্টা চালিয়ে যান। সফলতা আপনার কাছে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করবে ।

Similar Posts

One Comment

  1. একজন শুভাকাঙ্ক্ষী থাকা খারাপ নয়৷ আবার সফলতার জন্য হলেও যে ব্যাক্তি কারও ভালো চায় না তাকে পরিত্যাগ করাও উচিত বলে মনে করি।

Comments are closed.