মাহবুবা হক / জুন 27, 2020
বাড়তি ওজন বা স্থূলতা গোটা বিশ্বজুড়ে একটি বড় সমস্যা। বেশী খাওয়া এবং কম পরিশ্রম করা, শর্করা ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ইত্যাদি কারণ তো আছেই। কিন্তু আরও কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলো হঠাৎ করেই ওজন বাড়িয়ে দেয়।
শরীরে ইসট্রোজেন হরমোন কমে গেলে ওজন বাড়ে। অন্যভাবে বলা চলে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সময় মন-মেজাজের ওঠানামা হয়। এতে অনেক সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়, ওজন বাড়ে।
মানসিক চাপ ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার একটি বড় কারণ। একে ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে নীরব ঘাতকও বলা যায়। মানসিক চাপে থাকলে করটিসল হরমোন বেশি বের হয়। এটি ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।
ভালোভাবে না খেলে, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে ওজন বাড়ে। অনেকে ভাবে, না খেয়ে বুঝি ওজন কমানো যায়। ধারণাটি খুব ভুল। না খেয়ে ওজন তো কমবেই না, উল্টো ক্ষতি হবে। কেননা, একবেলা না খেলে পরের বেলা বেশি খাওয়া হয়ে যাবে, ক্যালরি বেশি গ্রহণ হবে। এতে ওজন বাড়বে।
ওষুধও কখনো কখনো ওজন বাড়ানোর জন্য দায়ী। জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ বা পদ্ধতিগুলো অনেক সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া বিষণ্ণতা প্রতিরোধের ওষুধও ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
যেসব নারী অলস, তাঁদের ওজন বাড়ার আশঙ্কা বেশি। কায়িক শ্রম বা শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম ওজন কমাতে কাজ করে। যাঁরা এগুলো করেন না, তাঁদের ওজন বাড়ে। তবে ব্যায়াম বা কায়িক শ্রমের পাশাপাশি কিন্তু ক্যালরি গ্রহণও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ক্ষুধা বেশি লাগা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ক্ষুধা বেশি লাগলে বেশি খাওয়া হয়। শরীরে বেশি ক্যালরি গ্রহণ হয়, এতে চর্বি জমে, ওজন বাড়ে। তাই খুব ক্ষুধা লাগিয়ে খাবেন না। দু-তিন ঘণ্টা পর পর ছোট ছোট ভাগে খাবার খান।
বয়স বাড়তে থাকলে নারী শরীরের শক্তি কমে যায়। এ সময় শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। পাশাপাশি এ সময় বিপাক ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়, এতে ওজন বাড়ে।
আমরা অনেকেই দেরিতে ঘুম থেকে উথি,অথবা অনেক নারী ভাবেন সন্তান এবং স্বামীকে খাইয়ে পরে নিজে খাবেন। অথবা ইচ্ছা করেই আমরা সকালের নাস্তা স্কিপ করি।ভাবি একবেলা কম খেলে বরং ওজন কমবে। ঘটে কিন্তু তার উল্টোটা। সারারাত অভুক্ত থাকার পর যদি নাস্তা না করি আমাদের শরীর তখন ফ্যাট জমাতে শুরু করে দেয়।সে ভাবে দুর্ভিক্ষ অবস্থা দেখা দিয়েছে। তাই খুব ভালো করে সকালের নাস্তা করতে হবে।
FILED UNDER :লাইফস্টাইল , স্বাস্থ্য কথন
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ