LinkedIn : প্রফেশনালদের সমাজ

বর্তমান সময়ে পেশাগত প্রতিযোগিতা যেন আকাশচুম্বী। এই প্রতিযোগিতার জগতে আপনাকে হতে হবে নিয়মিত আপডেটেড। চাকরি এবং ব্যবসায়িক জগতের প্রতিযোগিতায় আপনাকে একধাপ এগিয়ে রাখবে লিংকডিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক লিংকডিন কি, এর কার্যকারিতা ও উপকারিতা এবং কিছু টিপ্স যা আপনাকে লিংকডিনে প্রফেশনাল হিসেবে পরিচিত হতে সাহায্য করবে।

লিংকডিন কি :

লিংকডিন হলো ফেসবুকের মতই একটি সামাজিক সাইট, তবে তা  ডেইলি লাইফ দেখানোর জন্য নয় বরং প্রোফেশনাল লাইফ উপস্থাপনের জন্য  ব্যবহৃত হয়। এখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়, বিভিন্ন কোম্পানির গ্রুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন পেশার পেশাজীবি মানুষদের সাথে  সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। এছাড়াও এখানে আপনি চাকরি এবং ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপাবেন। অতএব লিংকডিন হল একটা সামাজিক সাইট যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিংয়ে এক বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

লিংকডিন এর কার্যকারিতা ও উপকারিতা:

১. চাকরির বিজ্ঞপ্তি  পাওয়া যায় মুহুর্তেই।
২. একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাথে সহজে যোগাযোগ।
৩. বিভিন্ন মানুষের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগ।
৪. অন্যান্য ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য আহরন।
৫. লিংকডিন এ বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স করে নিজের দক্ষতা আরো বাড়িয়ে নেয়া যায়।
. যদি আপনি লেখক অথবা ব্লগার হোন তবে লিংকডিন আপনার জন্য একটি ভালো প্রচারমাধ্যম।

লিংকডিন এ প্রফেশনাল একাউন্ট তৈরির কিছু টিপস:

1. Profile & Cover Photo: এই ব্যাপার টা স্বাভাবিক হলেও সত্য যে আপনার লিংকডিন আইডি যখন অন্য কেউ দেখবে তখন তার পছন্দ হওয়ার ৪০% নির্ভর করবে আপনার প্রোফাইল ও কভার ফটো। কারন এটাই তার চোখে প্রথম পড়বে। আপনি অবশ্যই প্রোফাইল ছবির জন্য এমন ছবি বাচাই করবেন যা আপনাকে ১০০% আত্মবিশ্বাসী দেখায়। কভার ফটোতে অবশ্যই আপনার কর্মস্থলের ব্যাপার তুলে ধরবেন। যেমনঃ আপনি যদি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হন তবে আপনি অবশ্যই সাইট ভিজিটে যাবেন তো সেখানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ছবি দিবেন যা আপনার কর্মজীবন কে তুলে ধরে।

2. About : এই সেকশনে আপনার সম্পর্কে সংক্ষেপে কিন্তু মূল্যবান বিষয়গুলি তুলে ধরবেন। অনেকটা সারমর্মের মত। এখানে আপনি লিখবেন আপনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং আপনার দক্ষতা নিয়ে।

3. Feature : এরপরই আপনি পাবেন এই অপশনটি। এখানে আপনি আপনার আর্টিকেল তুলে ধরতে পারেন। এছাড়া আপনি কোন কোর্স করে থাকলে তার লিংক দিতে পারেন। সেই কোর্সের সনদপত্রের ছবি দিতে পারেন। আপনার কর্মস্থলের কোন বিশেষ ইভেন্টের ছবি দিতে পারেন।

4. Licences & Certificate : আপনি লিংকডিনে অনেক কোর্স করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি অন্য কোন কোর্স করে থাকেন তবে তার সনদপত্র এখানে আপলোড করবেন। এটা আপনাকে প্রোফেশনালিজমের  দিকে আরেকধাপ এগিয়ে নিবে এবং আপনাকে আরও দক্ষ প্রমাণিত করবে।

5. Skills & Endorsements : আপনি কিসে দক্ষ? আপনি কি গ্রাফিক্স ডিজাইন/মাইক্রোসফট এক্সেল/অটোক্যাড/পাইথন/ম্যানেজমেন্ট পারেন? তবে তা তুলে ধরুন এখনে। কেউ যদি ইন্ডোর্স করে অর্থাৎ আপনার দক্ষতাকে অনুমোদন দেয় তবে আপনি পয়েন্ট পাবেন। আপনার পয়েন্ট যত বাড়বে একটা কোম্পানির এইচ আর আপনাকে তত দক্ষ মনে করবে।

অতএব নিজেকে চাকরির বাজারে উপযুক্তভাবে  স্থাপন করার মাধ্যম হলো লিংকডিন। একজন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরও একটি লিংকডিন আইডি থাকা উচিত আগামী চাকরির জগতে নিজেকে একধাপ এগিয়ে রাখার জন্য।

Similar Posts