মাহবুবা হক / এপ্রিল 23, 2018
আপনি মুখ ক্লিন করার পরেও যে মুখ সম্পূর্ণ ক্লিন হয়েছে কিনা,বা মুখে থাকা পোরস গুলো ওপেন হয়েছে কিনা তা কিন্তু ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পরেও বুঝা যায়না। আর এই ক্লিন হওয়া মুখ আরো ফ্রেস করার জন্য মুখে যে টোনার ব্যবহার করা হয় তাকেই টোনিং বলে।
ফেস টোনিং করলে স্কিন ভিতর থেকে ক্লিন হয় সাথে পোরস প্রব্লেম ঠিক করা সহ ত্বক হয়ে যায় আরো দীপ্ত ও লাবণ্যময়। ফেস টোনিং নিয়মিত করা উচিত। টোনার সব স্কিন টাইপ অনুযায়ী খুবি গুরুত্বপূর্ণ।
যখন আপনি ফেসওয়াস বা কোন DIY রেমেডী ইউজ করে ফেস ক্লিন করবেন। তার ঠিক পরেই তোয়ালে দিয়ে হাল্কা করে মুখ মুছে নিবেন। এরপর আপনের ভাল লাগা কোন টোনার কটন বলে নিয়ে তা মুখে আলতো করে লাগাবেন যেখানে পোরস আছে সে জায়গা গুলো সুন্দর করে লাগাবেন।
*মনে রাখবেন টোনার লাগানোর পর কখন ই সেটা মুছবেন না বা পানি,ফেসওয়াস দিয়ে ধুবেন না।
বরং শুকাতে দিন। আপনি যদি মুখ ধোয়ার পর যদি চিন্তা করেন যে,কোন ফেস প্যাক লাগাবেন সেক্ষেত্রে আপনি টোনার ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলার পর ইউজ করবেন।
যা যা লাগবে-
১। গ্রিন টি
২।গোলাপ ফুল
প্রথমে এক কাপ গরম পানিতে গ্রিন টি এক চামচ অথবা একটা টি ব্যাগ দিন। ৩০ সেকেন্ড পর ছেঁকে নিন। গ্রিন টি বানিয়ে আলাদা করে রাখবেন।
চুলায় একটি পাত্র দিন। তাতে এক কাপ পানি গরম করুন। তাতে গোলাপের পাপড়ি ফেলে দিয়ে যতক্ষন পানি গোলাপি না হয় ততক্ষন পানি ফুটাবেন হাল্কা তাপে। কিছুসময় পর দেখবেন পাপড়ি সাদা হয়ে গেছে তখন চুলা অফ করে গোলাপজল ঠান্ডা করবেন।
সব ঠান্ডা হওয়ার পর গ্রিন টি ও গোলাপ জল মিক্সড করে ফ্রিজে রেখে দিন। এইত হয়ে গেল আপনের টোনার। ফ্রিজে রেখে দিয়ে এই টোনার ২০ দিন পর্যন্ত ইউজ করা যাবে।
তাছাড়া শশার রস ও প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ভাল।
বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন রোজ ওয়াটার টোনার হিসেবে ইউজ করতে পারেন।
মুখ টোনিং করার পর অব্যশই ভাল মশ্চারাইজার মুখে দিতে হবে।
কোন কিছু বুঝতে না পারলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
পোস্ট ভাল লাগলে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেনা।
FILED UNDER :অন্যান্য , লাইফস্টাইল , স্বাস্থ্য কথন
Comments are closed.
One Comment
ফাতেমা says
টোনিং সম্পর্কে সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ