ব্যায়াম,খাবার নিয়ন্ত্রণ করেও ওজন কমছে না? এর কারন ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কিছু ভুল ধারনা!
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বেঢপ ফিগার দেখে মন খারাপ হয়? এক্সারসাইজ, ডায়েট কন্ট্রোল এতো কিছুর পরো ফলাফল শূন্য ! এর কারণ হল আমাদের কিছু ভুল ধারনা ।
কী সেই ভুল ধারণা, চলুন দেখে নিই সেগুলি-
• ওজন কমাতে চিনির থেকে মধু খাওয়া ভালো।
এটা একেবারেই ভুল ধারণা। ওজন কমাতে দৈনন্দিন খাবারে চিনির বদলে অনেকে মধু ব্যবহার করেন। তবে তাতে কিন্তু আপনার ওজন কন্ট্রোলে থাকবে না। কেন? চিনির থেকেও মধুতে বেশি ক্যালরি থাকে। ১ টেবিলচামচ মধুতে প্রায় ৬৫ ক্যালরি থাকে। অন্যদিকে, একই পরিমাণ চিনিতে ক্যালরি থাকে ৪৬।
• দেশি ঘি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।
আগের আমলে গরম ভাতে কয়েক চামচ ঘি দিয়ে খাওয়া শুরু করা হতো। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে সে ট্র্যাডিশন গায়েব হচ্ছে দিনকে দিন। কারণ অনেকেই মন করেন, ঘি খেলে ওজন কমানো তো যাবেই না, বরং তা বাড়বে।
বিশুদ্ধ দেশি ঘিতে রয়েছে ৬৫ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ৩২ শতাংশ মুফা। মুফা কোলেস্টরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে যতই সানফ্লাওয়ার বা কটনসিড অয়েলের বিজ্ঞাপনে দাবি করুক না কেন, দেশি ঘি কিন্তু এদের থেকে বহু গুণ স্বাস্থ্যকর।
• আপেল ও কলায় আয়রন রয়েছে।
আয়রনের অন্যতম উৎস আপেল ও কলা। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আয়রন নয়, এই দুইটি ফলই ফাইবারে ভরপুর। আয়রনের জন্য আপেল বা কলা নয় খান কিশমিশ ও ড্রাই অ্যাপ্রিকটের মতো ড্রাই ফ্রুটস।
• ডিম খেলে কোলেস্টরল বাড়ে।
এটিও ভ্রান্ত ধারণা। প্রতিদিন একজন প্রাপ্ত বয়স্কের ৩০০ এমজি কোলেস্টরল প্রয়োজন হয়। একটি ডিমে প্রায় ২১৫ এমজি কোলেস্টরল থাকে। তা হলেও রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়াতে ডিমের কোনো ভূমিকা খুবই সামান্য। কেন?
২০১২ সালের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, অতিরিক্ত ডিম খেলেও হার্টের অসুখে তা সামান্যই প্রভাব পড়ে। ফলে বেশি না হলেও দিনে অন্তত একটা ডিমে ক্ষতি নেই।
•এক্সারসাইজ করলেই হবে,খাদ্য নিয়ন্ত্রণ এর দরকার নাই।
এমন ধারনা আমাদের অনেকের আছে।জিম এ এক ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে পেট ভরে খাবার খেয়ে নিই। এক গ্লাস কোল্ড ড্রিঙ্ক আমাদের শরীরে যোগ করে বাড়তি ১৫০০-২০০০ ক্যালরি।
• বেশী পানি খেলে ওজন বাড়ে।
আমরা অনেকেই ভাবি বেশী পানি খেলে মোটা হয়ে জাব।শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে হলে পানির কোনো বিকল্প নাই। আমাদের প্রতিদিন কম পক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।