হাতের লেখা সুন্দর করবেন কিভাবে?
হাতের লেখা আর খাতায় প্রেজেন্টেশন এই দুইটা জিনিস ই একজন শিক্ষক দেখেন। একজন শিক্ষক যখন খাতা দেখেন, তখন খাতায় লেখার ধরণ, সাজানোর ধরন দেখেই ছাত্র সম্পর্কে ধারণা করে থাকেন। এখানে লেখা সুন্দর হলে- শিক্ষার্থী, শিক্ষকের আনুকূল্য পাবে এটাই তো স্বাভাবিক। এছাড়াও লেখা সুন্দর হলে সর্বত্র কদর পাওয়া যায়। আমাদের বাবা-মা, শিক্ষকরা ছোটবেলায় একদম ধরে ধরে মেনুয়ালি আমাদের হাতের লেখা শিখিয়েছেন।
অনেকে ভাবে বড় হয়ে গেলে বুঝি লেখা সুন্দর করা সম্ভব নয়! আসলে কথাটি ভুল। আপনার ইচ্ছাশক্তি, অনুশীলনের মাধ্যমে যেকোনো বয়সে আপনি আপনার লেখার ধরণ পরিবর্তন করতে পারেন।
এই আর্টিকেলে আপনি পাবেন, হাতের লেখা সুন্দর করার কিছু টিপস যেগুলো অনুশীলন করে আপনিও লেখা সুন্দর করতে পারেন।
পছন্দমতো কলম নিন
অনেকেই এটা দেখে বলবে, “ভাই- কলমের সাথে সুন্দর করে লেখার সম্পর্ক কি?”
কলমের সাথে সুন্দর করে লেখার সম্পর্ক আছে। একেকজনের কাছে একেক কলম কমফোর্টেবল মনে হয়। এছাড়াও ইংকের প্রশস্ততা,গ্রিপ এই জিনিসগুলো একেক জনের চাহিদা একেক রকম।
আপনার হাতে যে ধরনের কলম কমফোর্টেবল মনে হয় ঐ ধরনের কলম বেছে নিন।
গ্রিপ ধরার ক্ষেত্রে সাবধান !
কেউ কেউ খুব শক্ত করে কলমের গ্রিপ ধরে এবং এমনভাবে খাতায় লেখে যেন খাতার সাথে তার পুরোনো শত্রুতা। এতে করে যেমন লেখার সৌন্দর্যহানি হয় তেমনি করে আপনার লেখার ইফিশিয়েন্সি কমে যায়। যেমন- বেশ কতক্ষণ শক্ত করে লেখার পরে হাত অবশ হয়ে আসা।
সুতরাং গ্রিপ ধরার ক্ষেত্রে আপনি যেভাবে ধরতে ইজি ফিল করেন ঐভাবে ধরুন।
রুল টানা খাতায় প্র্যাকটিস শুরু করুন
ছোটবেলায় আমরা বাংলা-ইংরেজি রুল করা খাতায় লেখতাম। এর কারণ ছিলো লেখার আকার,আকৃতি,স্পেসিং যেন ঠিক থাকে। যখন আমরা প্র্যাকটিস করবো তখন রুল করা খাতায় টাইপিক্যাল ( যেটা দেখে আমরা প্র্যাকটিস করবো) বর্ণ দেখে হুবুহু উপরে কতটুকু গেলো,নিচে কতটুকু গেলো এগুলো দেখবো। প্রথমেই ১০০% কপি হবে না স্বাভাবিক। আপনি একই বর্ণ যখন কয়েক পৃষ্ঠায় লিখতেই থাকবেন তখন প্রথম পৃষ্ঠার সাথে শেষ পৃষ্ঠার তুলনা করলেই আপনার অগ্রগতি বুঝতে পারবেন।
যখনই সময় পান প্র্যাকটিস করুন
অন্য যেকোনো কিছুর মতোই হাতের লেখা সুন্দর হওয়া আপনার প্র্যাকটিসের উপর নির্ভর করে। যেখানেই সুযোগ পান,লেখা শুরু করেন। প্র্যাকটিস করতে থাকেন। এই লেখার প্র্যাকটিসের মাধ্যমেই একসময় হয়তো আপনি নতুন একটা লেখার স্টাইল ও তৈরি করতে পারেন। এতে করে পরে নতুন কোনো স্টাইলিশ ফন্ট আপনার লেখার আদলেও তৈরি হতে পারে। অসংখ্য ফন্ট এইভাবে তৈরি করা হয়েছে।
আপনার নিজের লেখার ধারাকে ধরে রাখুন
লেখা সুন্দর করতে হবে মানে এই নয় যে আপনার লেখা হুবহু কম্পিউটার টাইপিং হতে হবে। একেকজন একেকজনের লেখার স্টাইল একেকরকম এবং এটাই স্বাভাবিক। আপনার স্টাইলকে ধরে রেখে এরকম ভাবে লেখাগুলোকে সাজিয়ে তুলুন যেন আপনার লেখার বেস্ট ভার্সনটা আপনি দিতে পারেন।
The difference between ordinary and extraordinary is practice.
– VLADIMIR HORMOITZ
সুতরাং প্র্যাকটিস করতে থাকুন। আপনার লেখাও সুন্দর হবে।
আপনার প্রতিটি লেখাই খুবই তথ্যবহন করে। আমি আশা কি আপনি নিয়েমিত বিভিন্ন ধরণে বিষয় নিয়ে পোষ্ট করবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার অনেক সুন্দর লেখা জন্য।