কেউ অপছন্দ করলে কি করবেন?
(লেখা কপি করার কারণে এই লেখক কে বাংলা ভাইব থেকে ব্যান করা হয়েছে। আর এই লেখার মূল সোর্স এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=Lt76mFIWhk8&t=41s)। আমাদের অগোচরে প্লাগারাইজড কন্টেন্ট সাইটে পাবলিশ হয়ে যাওয়াতে আমরা অডিয়েন্সের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)
ধরুন, আপনাকে আপনার কলেজের কেউ একজন অপছন্দ করে। এরকম কেউ যার সাথে আপনার আসলে কোনো কাজ দরকার নেই। এবার সেই অকারনে অপছন্দ করুক কি কারনে করুক, এক্ষেত্রে বেস্ট সলিউশন হতে পারে তাকে পুরোপুরি ইগনোর করা। কিন্তু ভাবুন, যদি আপনার অফিসের বস আপনাকে অপছন্দ করে বা আপনার কলেজের কোনো টিচার যার হাতে আপনার পাশ ফেল নির্ভর করছে, সে যদি আপনাকে অপছন্দ করে তাহলে কিন্তু সেক্ষেত্রে ইগনোর করাটা মোটেও ভালো সলিউশন না। তো এই ক্ষেত্রে দুই রকমের কেস হতে পারে।
- নাম্বার ওয়ান- যাকে ইগনোর করা সম্ভব।
- নাম্বার টু- যাকে ইগনোর করা সম্ভব না।
যাকে ইগনোর করা সম্ভব তাকে নিয়ে তো কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু সমস্যাটা তাকে নিয়ে যাকে ইগনোর করা সম্ভব না। তো সেক্ষেত্রে কি করা উচিত? সেটাই এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সাথে শেয়ার করব। তো চলুন শুরু করা যাক-
যাকে ইগনোর করা সম্ভব না, তার ক্ষেত্রে আপনার প্রথম কাজটা হলো এটা ফিগার আউট করা যে সে কেন আপনাকে অপছন্দ করে? এবার সে যে কারণে আপনাকে অপছন্দ করে। সে কারণটা দু ধরনের হতে পারে।
নাম্বার ওয়ান- যেটা আপনি চাইলে বদলাতে পারেন। অথবা নাম্বার টু- যেটা আপনি চাইলেও বদলাতে পারবেন না।
যেমন ধরুন- আপনার বস আপনাকে অপছন্দ করে কারণ, আপনার গায়ের রং কালো। উনার কালো মানুষদের একদম পছন্দ না। তাহলে এখানে আপনার কিছুই করার নাই। এটা আপনার কোনো প্রবলেম না এটা আপনার বসের মেন্টাল প্রবলেম। তো এরকম ক্ষেত্রে কি করা উচিত? পাউডার মেখে অফিস যাওয়া উচিত? না তাতেও বোধহয় খুব একটা কাজ হবে না। এরকম ক্ষেত্রে অনেকেই কি করে, উল্টো নিজের বসকে অপছন্দ করতে শুরু করে। যেটাতে কোনো সমাধান তো না-ই, উল্টো আরো প্রবলেম তৈরি করার শ্রেষ্ঠ উপায়।
যেমন মার্টিন লুথার কিং বলেছিলেন, অন্ধকার দিয়ে কোনোদিন অন্ধকার দূর করা যায় না, একমাত্র আলো দিয়েই তা করা সম্ভব। ঘৃণা দিয়ে কোনোদিন ঘৃণা দূর করা যায় না, একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই তা করা সম্ভব।
তাই এক্ষেত্রে আপনাকে জানতে হবে, যে সে মানুষটি যে আপনাকে অপছন্দ করে, সে কি কি সব থেকে বেশি পছন্দ করে? হতে পারে হয়তো সে খেতে খুব ভালোবাসে বা তার কাছে যদি কেউ কিছু শিখতে চায় তাহলে সে খুব খুশি হয়। আপনাকে তাকে মন দিয়ে অবজার্ভ করে এই জিনিসগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আর তারপর মাছ ধরার টোপের মতো সেই জিনিসগুলোকে ব্যবহার করে তার মন জয় করতে হবে। যখনই আপনি এটা করতে যাবেন তখন আপনাকে তিনটা স্টেজ অতিক্রম করতে হবে।
প্রথমে যে আপনাকে অপছন্দ করে সে আপনাকে ইগনোর করার চেষ্টা করবে।
এরপরও যদি আপনি লেগে থাকেন তবে হতে পারে সে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে অপমান করতে পারে। আর এখানেই ৯০% কুইট করে যায়।
কিন্তু আপনি যদি এরপরও লেগে থাকেন কারণ আপনি জানেন যে দরকারটা আপনার। তবে তারপর সে আপনাকে টোটালি রিজেক্ট করতে শুরু করতে পারে। মানে আপনি হয়তো বললেন- স্যার, এই জিনিসটা আমি আপনার কাছ থেকে শিখতে চাই। ওনি হয়তো বললেন, সরি আমার কাছে এখন টাইম নেই তুমি পরে একসময় এসো।
কিন্তু এরপরেও যদি কড়া কড়া কথা শুনেও আপনি পোলাইটভাবে থাকতে পারেন তবে গিয়ে আপনি প্রকৃতপক্ষে ওনার মন জয় করতে সক্ষম হবেন। এমন না যে টোপে লাগিয়ে বরশি পানিতে ফেললাম আর মাছ গেঁথে গেল। এখানেও আপনাকে ধৈর্য্য রাখতে হবে। তবেই বড়শিতে মাছ গাঁথবে। কারণ মনে রাখবেন, এরকম ক্ষেত্রে দরকারটা আপনার তাই ধৈর্য্যটাও আপনাকেই ধরতে হবে।
এবার ধরুন যদি কেউ আপনাকে অপছন্দ করে কারণ, আপনি পরিষ্কার পরিছন্ন থাকেন না, অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করেন। মদ, গাঁজা, বিড়ি সিগারেট যত ধরনের নেশার জিনিস আছে সবকিছুর নেশা করেন বা আপনার পছন্দের কোনো ব্যক্তি আপনাকে অপছন্দ করে কারণ আপনি খুব মোটা বা হয়তো আপনি হুটহাট করে রেগে গিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলে ফেলেন বলে কেউ আপনাকে অপছন্দ করে। মানে এরকম কিছু যেটা আপনি ইচ্ছা করলেই বদলাতে পারেন এবং সেটা বদলানো আপনার পক্ষে ভালো। তাহলে সেরকম ক্ষেত্রে সেই অপছন্দ করার কারণটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আর সেই এনার্জিটাকে ইউজ করতে হবে নিজেকে বদলে ফেলতে।
এতটা বদলে ফেলতে যে যাতে আপনার যে পছন্দের ব্যক্তিটি আপনাকে মোটা বলে আপনাকে রিজেক্ট করেছিল সেই পরে নিজে থেকে আপনার সাথে কথা বলার জন্য এগিয়ে আসে। আর যখন সে নিজে থেকে এগিয়ে আসবে তখন একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, কোনোভাবেই যেন আপনার অহংকার প্রকাশ না পায় তাহলে কিন্তু সব ভেস্তে যাবে। তখন যদি আপনি তাকে পোলাইট ভাবে একসেপ্ট করে নেন তবেই আপনি জয়ী হবেন এবং সেই মানুষটার অপছন্দটা পার্মানেন্টলি পছন্দতে কনভার্ট হবে। কিন্তু যদি আপনি অহংকার দেখিয়ে ফেলেন তবে সে অপছন্দটা কোনোদিনই আর পছন্দতে কনভার্ট তো হবে না-ই, উল্টো আরো অপছন্দ করাটা বেড়ে যাবে। তাই যদি আপনার মূল উদ্দেশ্য অপছন্দটাকে পছন্দে কনভার্ট করা হয় তাহলে ফাইনাল স্টেপটা খুব সতর্কভাবে মাথায় রাখবেন কারণ এই ব্যাপারটা ভীষনই সেনসিটিভ।
তো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক- কেউ আপনাকে অপছন্দ করলে আপনার কি করা উচিত?
সবার প্রথমে দেখুন তার সাথে আপনার আসলে কোন কাজ দরকার আছে কিনা? যদি না থাকে তাহলে সিম্প্লি ইগনোর করুন। ফাও জিনিসের পিছনে টাইম এবং এনার্জি কোনোটাই নষ্ট করে কোনো লাভ নেই।
কিন্তু যদি দরকারটা আপনার হয় তাহলে খুঁজে বের করুন কেন সে অপছন্দ করে। যদি কারণটা এরকম কিছু হয় যা বদলানো অসম্ভব তাহলে অপছন্দটাকে ইগনোর করে সে যেটা পছন্দ করে সেটা টোপ হিসেবে ব্যবহার করে তার মন জয় করুন। আর যদি কারণটা এরকম কিছু হয় যেটা বদলানো সম্ভব এবং বদলানোটা আপনার পক্ষে ভালো তবে সেটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন আর নিজেকে বদলে দেখিয়ে দিন।