পেশা অনুযায়ী মনের মানুষকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানোর অভিনব কিছু আইডিয়া

শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে

“জন্মদিনে কি আর দেবো তোমায় উপহার! বাংলায় নাও ভালোবাসা হিন্দীতে নাও পেয়ার।”

নিশ্চয় মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলায় বন্ধুদের একসাথে গলা মিলিয়ে গান গেয়ে আপনাকে শুভেচ্ছা জানানোর কথা।

প্রত্যেকে চাই তার মনের মানুষ্টির স্পেশাল দিনটি আরো স্পেশাল ভাবে পালন করতে। যদি তার পেশার সাথে মিল রেখে তাকে একটু ভিন্ন ভাবে শুভেচ্ছা জানানো যায় তবে কেমন হবে ভাবুনতো! নিশ্চয় ভীষণ ইন্টারেস্টিং, তাই তো? চলুন দেখে নেয়া যাক পেশার সাথে মিল রেখে মনের মানুষটিকে জন্মদিনে উইশ করার কিছু আইডিয়া।

যদি তিনি পেশায় ডাক্তার হয়ে থাকেনঃ
ডাক্তারদের ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। দিনশেষে দেখা যায় নিজের জন্য সময় থাকে খুব অল্প। বর্তমান সময়ে ফেসবুক নিজের জন্মদিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। নইলে দেখা যায়, ডাক্তাদের জন্মদিন কাটাতে হয় অপারেশন থিয়েটারের লাইট, কাঁচির সাথে। এই সিরিয়াস পেশার মানুষটিকে একটু ভিন্ন ভাবে উইশ করতে পারেন।
আপনি মুখে মাক্স বেঁধে রোগী সেজে তার চেম্বারে গিয়ে হাজির হোন। তিনি যদি জানতে চাই আপনার কি হয়েছে তখন আপনি বলুন আপনার আজ খুশিতে নিজেকে পাগল পাগল লাগছে। তিনি নিশ্চয় অবাক দৃষ্টিতে আপনার দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকবেন। তখন আপনি। বলুন, ” আজ আমার প্রিয় জীবনসঙ্গীর জন্মদিন, তাই আমি এতো খুশি। এরপর আপনার মাক্সটি খুলে বলুন, “শুভ জন্মদিন ” কি দারুণ! তাই না?

যদি তার পেশা হয় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
আমার মনের মানুষটি যদি পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারি হয় তবে তবে তার ল্যাপটপকে আপনার কাছে সতীনের মতোই মনে হবে। সারাদিনতো ল্যাপটপের সাথেই সময় কাটাতে হয়। নিশ্চয় বাড়ি ফেরার পরেও ল্যাপটপের সামনেই বসে থাকে। রাত ১২ঃ০০ টা বাজার কিছুক্ষণ পূর্বে তার ল্যাপটপটি চেয়ে নিন। ঘড়ির কাটা যখন জানান দেবে বারোটা বেজে গেছে ল্যাপটপ স্ক্রিনে বড় বড় করে লিখে রাখুন “Happy Birthday “. এবার তাকে তার ল্যাপটপ ফেরত দিন। দেখবেন সামনে সতীন থাকার পরেও চোখ কিছুক্ষণের জন্য আপনার দিকে আটকে আছে।

যদি তিনি পেশায় শিক্ষক হয়ে থাকেনঃ
শিক্ষকদের সারাদিনের সঙ্গী হচ্ছে বই, লেকচার শীট।
এই মানুষটির জন্মদিন যদি একটু আলাদা ভাবে সেলিব্রেট করতে চান তাহলে তার আয়োজনটা আগে থেকেই শুরু করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চয় তার সাথে চ্যাটিং হয়ে থাকে। তার মধ্যে আপনার ভালোলাগার কিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন। বিশেষ মানুষটির বিশেষ দিনটিতে সেই স্ক্রিনশট গুলো প্রিন্ট আউট করে বইয়ের মতো বাইন্ডিং করে তার হাতে দিন। বইয়ের উপরে লিখুন ” আমাদের কথা”। তাকে বলুন” বাজারে একটা নতুন বই এসেছে, একটু দেখো তো “। এই ভিন্ন স্বাদের উপহারটি তার জন্মদিনটা করে তুলবে অন্য বারের চেয়ে একটু আলাদা।

যদি তিনি হয়ে থাকেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীঃ
আপনার পথ চলার সাথীটি যদি হয়ে থাকেন রেস্টুরেন্ট এর মালিক হয়তো নিত্য তাকে অন্যদের বার্থডে সেলিব্রেশনে ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু নিজের জন্মদিন সেলিব্রেশনে হয়তো সেভাবে আগ্রহ থাকেনা। আপনি বরং তাকে সারপ্রাইজ দিন। তার নামে একটি পার্সেল তার রেস্টুরেন্টে পাঠিয়ে দিন। যে মানুষটি রোজ অন্যের জন্য খাবারের পার্সেল পাঠায় তার নামে পার্সেল আসতে একটু অবাকতো হবেনই। যখন খুলে দেখবে আপনি তার জন্য বার্থডে কেক পাঠিয়েছেন নিশ্চয় আপনার ফোনের স্ক্রিনে ক্রিং ক্রিং শব্দে তার নাম ভেসে উঠবে।

যদি তিনি হয়ে থাকেন ব্যাংকারঃ
প্রত্যেক বছর নিশ্চয় ঠিক রাত বারোটায় তাকে উইশ করেন? এই বছর করবেন না। যেন তিনি ভাবেন আপনি তার জন্মদিনের তারিখটা ভুলে গেছেন। মন খারাপ নিয়েই সেদিন অফিস যাবেন তিনি। ব্যাংকারের ঘরে চেক বই থাকবেনা সেটাতো হতে পারেনা। পরিচিত কাউকে দিয়ে দুটো চেক কেটে তার কাছে পাঠিয়ে দিন। তারমধ্যে একটি চেকে লিখে দিন” শুভ জন্মদিন প্রাণের মানুষ। চেকে লিখে দেওয়া টাকাটা পাঠিয়ে দিন। আপনার জন্য বার্থডে কেক কিনতে হবেতো।” দেখবেন তার সব মন খারাপ দূর হয়েছে গেছে।

যদি তিনি হয়ে থাকেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিকঃ
মানুষের রোজকার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে এদের লেনদেন। নিজের জন্মদিন পালনের সময় কোথায়! আপনার ব্যবসায়ী মানুষটির জন্মদিন উইশটি না হয় একটু ব্যবসায়িক ভাবে হোক। রোজ নিশ্চয় ঘর থেকে বেরুনোর আগে তার হাতে একটি লম্বা ফর্দ ধরিয়ে দেন। তার জন্মদিনের দিন ও দিবেন কিন্তু ফর্দটা হবে একটু ভিন্ন। তাতে লিখুন “তার জন্মদিনের তারিখ, বার,সাল, মোমবাতি, বার্থডে কেক সর্বশেষে লিখুন শুভ জন্মদিন “। কি,পারবেন তো!

জীবনটা খুব ছোট। আমরা কে কত বছর বাঁচলাম তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা কিভাবে বাঁচলাম। ছোট ছোট মুহুর্ত গুলোকে উপভোগ করে দেখুন জীবনটাকে অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে। মনে রাখবেন, আপনি জীবনকে যতখানি দিবেন সে আপনাকে তার দ্বিগুন ফিরিয়ে দেবে।


শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে

Similar Posts