ব্যাস্ত দিনের সহজ রুপচর্চা : অল্প উপাদান ও স্বল্প সময়ের মাঝেই

আমাদের জীবনে  ব্যস্ততা বিহীন কোন দিন থাকেনা। কাজে হোক বা লেখাপড়ায় – সব বয়সেই  ব্যস্ততাটা আমাদের সাথে থেকেই যায়। তবে এই বিজি লাইফেও কিন্তু চাইলেই আমরা খুব সহজ কিছু উপায়ে আমাদের স্কিনের যত্ন নিতে পারি।  যেগুলো একইসাথে কার্যকর এবং স্বল্প সময়েই করা যায়। 

তো চলুন এবারে জেনে নেই খুবই সহজ কিছু ঘরোয়া রুপচর্চার উপায়:

  • প্রতিদিন বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে একফালি লেবু চিপে নিয়ে এর খোসা আলতো ভাবে মুখে রাব করুন।  লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড ও ভিটামিন সি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এই উপাদানগুলোর জুড়ি নেই। খুব অল্প দিনেই আপনার চেহারা ভেতর থেকে উজ্জল হওয়া শুরু করবে এবং ত্বকে পিম্পলের দাগ থাকলে তাও দুর হবে।

  • আমরা যেসকল প্রোটিন খাবার খাই তা দিয়েই তৈরী করে নিতে পারেন ফেইসপ্যাক। অর্ধেকটা কলা, একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চা চামচ দই ভালোমত ব্লেন্ড করে নিন।এই প্যাক পুরো মুখে লাগিয়ে পনেরো মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

  • দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ পরিমাণ লেবুর রস ভালোমত মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রন  মুখে বিশ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। লেবু তো আপনার ত্বককে উজ্জল করবেই সাথে মধু আপনার ত্বকে নমনীয়তা এনে দেবে। তবে যেকোনো ধরণের স্ক্রাব করার পর বা পিলিং জেল ব্যবহার করার পর কখনোই মুখে লেবু বা লেবু দিয়ে তৈরী কোনো প্যাক ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক জ্বলতে পারে।

  • টমেটোর ভেতর থেকে পাল্প বের করে তাতে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিন, এতেই তৈরী হয়ে যাবে ঘরোয়া ব্লিচ।  মিশ্রনটি আপনার ত্বকের পোরগুলো বন্ধ করবে এবং উজ্জলতা আনবে। এই প্যাক লাগানোর পর মুখে সাবান বা ফেইসওয়াশ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। এটি ইনস্ট্যান্টলি আপনার ত্বকে সৌন্দর্য এনে দেবে।

  • অতিরিক্ত গরমে ত্বকে ঠান্ডাভাব আনতে ব্যবহার করুন শশা। শশা পাতলা স্লাইস করে কেটে নিয়ে মুখের ওপর দিয়ে রাখুন। এছাড়াও ছোট একটি শশা ব্লেন্ড করে এরসাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে মুখে লাগাতে পারেন। এই প্যাক ব্যবহার করলে গরমকালে ত্বক থাকবে ফ্রেশ।

  • ত্বককে ময়েশ্চেরাইজড রাখতে কয়েকটি নিমপাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি ছেঁকে শাওয়ারের পানিতে মিশিয়ে নিন। এই পদ্ধতি আপনার ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখবে।

  • কাঁচা হলুদ পেস্ট করে নিয়ে তাতে পরিমাণমতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকের কালো হয়ে থাকা স্থানগুলোতে লাগান।  নিয়মিত এই মিশ্রনটি পনেরো মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ত্বকের কালোভাব দুর হবে এবং ত্বকের ঔজ্জল্ল বৃদ্ধি পাবে। তবে প্যাচটেস্ট করে আগে পরীক্ষা করে দেখে নেবেন যে এই প্যাকটি আপনার ত্বকে স্যুট করছে কিনা। 

বাসায় থাকা উপকরণ দিয়ে আপনি যে শুধু ত্বকের যত্নই নিতে পারবেন তাই নয়, আপনি সহজে তৈরী করতে পারেন হেয়ার মাস্কও। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ইজি হেয়ারমাস্ক তৈরীর পদ্ধতি :

Natural-Beauty-tips
  • একটি আলু ও পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেড করে নিন। এবারে ব্লেন্ড করা মিশ্রনটি ছেঁকে যে তরল পাওয়া যাবে এটিই হলো হেয়ারমাস্ক।  আলুতে থাকা ভিটামিনস চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং পেঁয়াজে থাকা সালফার কোলাজেন টিস্যু তৈরীতে সাহায্য করে ফলে চুল বৃদ্ধি পায়।

  • একটি ডিমের সাদা অংশ, এক চামচ নারকেল তেল এবং মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মাস্কটি ভেজা চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে চুলের আগায় মালিশ করে গরম তোয়ালে দিয়ে বিশ মিনিট মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে।  ডিমের প্রোটিন চুলকে উজ্জল ও মসৃণ করবে।

এই সহজ রুপচর্চাগুলো সব ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী। তবে ঘরোয়া রুপচর্চা আপনাকে ধৈর্য নিয়ে অনেকদিন ধরে করে যেতে হবে। এসব পদ্ধতি আপনার ত্বকে ধীরে ধীরে উজ্জলতা আনবে এবং তা হবে দীর্ঘস্থায়ী।  

Similar Posts