মাহবুবা হক / এপ্রিল 21, 2018
আফলাতুন নামটি শুনলেই জিহ্বায় প্রথম যে জিনিসটির স্বাদ অনুভূত হয় টা হলো গরম দেশী ঘী এর সুগন্ধ। তারপর ক্রিস্পি পেস্তা বাদাম ,আমন্ড আর সাথে মাওয়া। সার্থক এর নামকরণ। সত্যি এর তুলনা হয়না। কিন্তু বানানো অনেক সহজ এবং কম সময় লাগে। ওভেন লাগবেনা ,আপনি সাধারণ চুলাতেই বানাতে পারবেন এই লোভনীয় মিষ্টি খাবার আফলাতুন। যারা ডিমের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না অথবা ভেজিটেরিয়ান তাদের জন্য এটি পারফেক্ট রেসিপি।
১।সুজি – ৩ টেবিল চামচ( কাঁচা সুজি লাগবে, ভাজলে শক্ত লাগবে)
২।গুঁড়া দুধ ১/২ কাপ
৩।মাওয়া – ২৫০ গ্রাম
৫।চিনি ১০০গ্রাম (আফলাতুনে মিষ্টি একটু বেশী দিতে হয়,তারপরও আপনারা নিজেদের স্বাদ অনুযায়ী কম বেশী দিতে পারবেন)
৬।ঘি- ২/৩ কাপ+ ১/২ টেবিল চামচ শুকনো ফল ভাজার জন্য
৭। শুকনো ফল- কিসমিস, পেস্তা বাদাম, আমন্ড কুঁচি
৮। জায়ফল গুঁড়া -এক চিমটি
৯। একটি এলাচ গুঁড়া করা।
১। প্রথমে এক টেবিল চামচ ঘি এর মধ্যে ড্রাই ফ্রূটস গুলোকে ভেজে নিন।
২। একটি প্যানে বাকী ঘি(২/৩) কাপ দিন। ঘি হাল্কা গরম হলে তাতে সুজি ঢেলে দিন। অনেক বেশী নাড়তে হবে।
৩। তারপর এতে গুঁড়া দুধ দিন এবং নাড়তে থাকুন অনবরত।
৪।এরপর এতে চিনি দিন। এখন মিশ্রণটি ড্রাই মনে হবে। ভয় পাবার কিছু নেই। নাড়তে থাকুন ক্রমাগত যাতে পুরোপুরি মিশে যায়।
৫। মাওয়া যোগ করুন এবার। এখানে নেড়ে যাওয়াই আসল কাজ। এক সময় মাওয়া ভেঙ্গে দানা দানা হয়ে যাবে এবং হাল্কা সোনালী রঙ এর হয়ে যাবে। আপনি যদি নাড়ানো বন্ধ করে দেন তাহলে এটি পুড়ে যেতে পারে। হাল্কা তাপে ১৫ মিনিটের মত রাখতে হবে এবং নাড়তে হবে।
৬। এখন তরল দুধ দিয়ে দিন এবং গুড়া মশলা গুলোও দিয়ে দিন। ভালো ভাবে নাড়ুন। যখন সব কিছু ভালো ভাবে মিশে যাবে তখন এতে ড্রাই ফ্রূটস গুলো মিশিয়ে নিন।
৭। এবার চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিন। এবং ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না বুদবুদ বের হয়। কিছুক্ষন পর আগুমের তাপ কমিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন। এক্সময় দেখবেন তা আপনার চমচের সাথে লেগে যাচ্ছে। তাহলে বুঝবেন আফ্লাতুন হয়ে গেছে। চুলা বন্ধ করুন।
৮। একটি সার্ভিং ডিশে ঘি ভালো করে মাখিয়ে নিন। তার উপর বাকি শুকনো ভাজা ফল গুলো বিছিয়ে দিন। এর উপর মিশ্রণটি ঢেলে দিন এবং ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে উল্টে একটি ডিশে সাজিয়ে দিন। আপনি ইচ্ছে করলে টুকরো টুকরো করে রাপিং করতে পারেন।
FILED UNDER :অন্যান্য
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ