Abdul Kader / সেপ্টেম্বর 18, 2020
(লেখা কপি করার কারণে এই লেখক কে বাংলা ভাইব থেকে ব্যান করা হয়েছে। আর এই লেখার মূল সোর্স এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=6INiAZoM2pQ)। আমাদের অগোচরে প্লাগারাইজড কন্টেন্ট সাইটে পাবলিশ হয়ে যাওয়াতে আমরা অডিয়েন্সের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)
মাঝে মাঝে আমাদের নিজেকে আমাদের পরিবার বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কারোর চোখে খুব সামান্য বা তুচ্ছ বলে মনে হয়। যেখানে আমরা সবাই জানি একমাত্র একে অপরের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা , যে কোনো সম্পর্ককে দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখতে পারে। যদি কোনো সম্পর্কে একে অপরের প্রতি কোন সম্মান না থাকে। তাহলে সেই সম্পর্ক কোনদিনই দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে না। সব থেকে বড় কথা হলো, সম্মান এমন একটা জিনিস যেটা আমাদের কাজের মধ্য দিয়ে আমরা অর্জন করি এবং প্রতিটা মানুষেরই মনের মধ্যে একটা চাহিদা থাকে যে সে যেন অন্যদের থেকে সম্মান পায়। তো এরকম কেন হয়, যে কিছু মানুষকে সবাই সম্মান করেন সেখানে কিছু মানুষ সবার কাছে সারা জীবন তুচ্ছ হয়েই থেকে যায়। তো আজ আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি কয়েকটি বিশেষ গুণের কথা, আপনি যদি এই গুণগুলো একবার নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি পার্থক্যটা লক্ষ্য করতে পারবেন। আপনার আশেপাশে সকলে আপনাকে সম্মান দিতে শুরু করবে।
স্টিভ জবস, আলবার্ট আইনস্টাইন এনাদের মতো লোকেদের কেন গোটা পৃথিবী সম্মান করে? কারণ তারা তাদের কাজে সবার থেকে সেরা। এরকম সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই যারা সেই কাজের সেরা, তাদেরকে প্রতিটি মানুষ সম্মান করেন। আপনার স্কুলের টিচারটি সব থেকে ভালো পড়াতেন, তাকেই কিন্তু সমস্ত ছাত্ররা সব থেকে বেশি সম্মান করতো। একইভাবে আপনার এলাকায় যে ডাক্তার রোগীদের সব থেকে ভালো চিকিৎসা করেন, তাকেই কিন্তু এলাকার সব মানুষ সব থেকে বেশি সম্মান করেন। তাই জীবনে আপনি যা কাজ করুন না কেন সেটাতে নিজেকে সবার থেকে সেরা করে তুলুন। এমনিতেই সমস্ত মানুষ আপনাকে সম্মান দিতে শুরু করবে।
ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম, মাদার তেরেসা এনাদের মতো মানুষদের গোটা বিশ্বের সমস্ত মানুষ কেন সম্মান করেন? কারণ তারা হলেন স্বার্থহীনতার চরমতম উদাহরণ। তারা তাদের সম্পূর্ণ জীবনটা উজাড় করে দিয়েছিলেন সেই সমস্ত মানুষদের ভালো করার জন্য যাদের তারা ঠিকভাবে চিনতেনও না। যদি আপনার সাথে প্রথম আলাপেই লোকেদের এটা অনুভব হয় যে আপনি সব সময় শুধু নিজেরটা নিজেই ভাবেন, তাহলে লোকেদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়া আপনার জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে আপনি যদি নিঃস্বার্থভাবে কাউকে সাহায্য করেন তাহলে সেই মুহূর্ত থেকেই কিন্তু আপনি সেই লোকটির চোখে আপনার জন্য সম্মান দেখতে পাবেন। এবার এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করছে যে কতখানি স্বার্থহীন হওয়াটা আপনার কাছে সঠিক বলে মনে হয়। কিন্তু যত বেশি আপনি স্বার্থহীন হয়ে উঠবেন লোকেরা আপনাকে ততবেশি সম্মান দিতে শুরু করবে।
যারা সারাক্ষণ শুধু জীবন নিয়ে অভিযোগ করে চলেন, এরকম লোকেদের সাথে সময় কাটাতে কেউ পছন্দ করে না। কারণ তারা নিজের সাথে সাথে অন্যদের মধ্যেও বাঁচার উৎসাহটাকে মেরে ফেলেন। অন্যদিকে যারা সব সময় একটা আশাবাদী মনোভাব নিয়ে চলেন তারা নিজের সাথে সাথে অন্যদেরও জীবনের কঠিন পরিস্থিতিগুলোকে অতিক্রম করতে সাহায্য করেন। তারা অন্যদের অনুপ্রাণিত করেন সঠিক কাজটা করার জন্য। আর এই কারনেই তাদেরকে সকলে সম্মান করতে শুরু করেন। ঠিক এ কারণেই বিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকারদের সারা বিশ্বের সকলেই সম্মান করে থাকেন। তাই জীবনে আপনি যেই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন না কেন একটা আশাবাদী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলুন এমনিতেই সকলেই আপনাকে সম্মান করতে শুরু করবে।
বেশি কথা বললে বাঁচাল নামের পদবীটা তো নামের সাথে জড়িয়ে যায়ই, তাছাড়া বেশি কথা বলা বাদ দিয়ে যদি আপনি শুধুমাত্র যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কথা বলেন তাহলে তাতে আপনার অনেক দিক থেকে লাভ হতে পারে। যেমন যদি আপনি শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলেন, তাহলে যখনই আপনি কিছু বলবেন তখন লোকে আপনার কথা মন দিয়ে শুনবে, যেটা এক ধরনের সম্মান জ্ঞাপনের মধ্যেই পড়ে। এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলায় আপনি সামনের জন কি বলছে, সেটা মন দিয়ে শোনার সুযোগ পাবেন। যার ফলে, তার মনোভাব এবং ইচ্ছাটা আপনি বেশি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং সে মতো আপনি তাকে যথার্থ উত্তর দিতে পারবেন। মানে এক কথায় বললে, প্রয়োজন অনুযায়ী কথা বলাতে আপনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তির মতো আচরণ করবেন। ফলে স্বাভাবিক সকলে আপনাকে সম্মান দিতে শুরু করবে।
অসৎ এবং নির্ভরযোগ্যহীন মানুষকে কেউই পছন্দ করেন না। সকলে থাকেই সম্মান করে, যে মানুষটার কথার দাম আছে এবং যার উপর ভরসা করা চলে। যদি আপনি যেটা করবেন বলেছেন, অন্তত সেটা কিংবা তার বেশিই সব সময় করে দেখাতে পারেন তাহলে স্বাভাবিক সকলেই আপনাকে আপনার এই গুণের জন্য সম্মান করবে। তাই জীবনে কখনো কাউকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ একবার যদি আপনি কারো সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেন তাহলে সেই মানুষটা আর জীবনে কখনো হয়তো আপনাকে সম্মান দেবে না। মিথ্যা কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরিবর্তে আপনি তাকে ভদ্রভাবে না বলতে পারেন। এতে বরং সেই মানুষটি আপনাকে সম্মান করবে। কারণ ভদ্রভাবে না বলার মধ্য দিয়ে আপনার সততা এবং আন্তরিকতা প্রকাশ পায়।
কারণ সব সময় মনে রাখবেন, যারা অন্যের কাছে জোর করে সম্মান দাবি করে, তারা কখনোই প্রকৃত সম্মান পায় না। প্রকৃত সম্মান একমাত্র তারাই পান যারা সেটার যোগ্য অধিকারী।
FILED UNDER :লাইফস্টাইল
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ