tasnim / জুলাই 5, 2020
ধরুন আপনি গুগলে সার্চ করলেন আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের কোনো একটা মডেলের ফোনের দাম কত পড়বে। ফলাফলে দেখতে পেলেন দু’রকমের দাম। একটিতে লেখা অফিসিয়াল আরেকটিতে লেখা আনঅফিসিয়াল। আচ্ছা গুগল বাদ দিন৷ মোবাইল কিনার দোকানে গেলে দোকানদার আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারে অফিসিয়াল ফোন নিবেন নাকি আনঅফিসিয়াল। আপনার কপাল থেকে তখন চিন্তার ঘাম বেয়ে পড়ছে, আর আপনি রুমাল দিয়ে তা মুছে নিচ্ছেন।
কি করবেন, কোনটা নিবেন ব্যাপারটা নিয়ে আপনি বেশ দ্বিধায় ভুগছেন। আপনার কি করা উচিত। আপনার যাতে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে না হয় তার জন্যই এই লেখা। আশা করি এই লেখা পড়ে আপনি জেনে যাবেন অফিশিয়াল আর আন অফিসিয়াল ফোনের পার্থক্য কি এবং কোনটা নেওয়া আপনার উচিৎ হবে। সব কিছু বিস্তারিত জেনে নেওয়ার পর বাকি সিদ্ধান্ত আপনার।
প্রথমে আলোচনা করা যাক অফিসিয়াল ফোন এবং আন অফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য কি? এটা আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নেই তাও একটু আলোচনা করা যাক। বিভিন্ন নামীদামী মোবাইল কোম্পানি তাদের তৈরী মোবাইল আমাদের দেশে রপ্তানি করে। এজন্য তাদেরকে বাংলাদেশ সরকারকে আলাদা কিছু কর দেওয়া লাগে। এতে করে ঐ মোবাইল গুলোর আইএমইআই নাম্বার সরকারের ডাটাবেইজে সংরক্ষিত হয়ে থাকে।
আর আন অফিসিয়াল ফোনগুলো হলো বাইরে থেকেই আসে তবে সরকারের কর কে ফাঁকি দিয়ে। অর্থাৎ এই ফোনগুলোর জন্য সরকারকে আলাদা করে কর দেওয়া লাগে না বিধায় সরকারের ডাটাবেইজে ফোনের আইএমইআই নাম্বার সংরক্ষিত থাকে না।
এখানে বলে রাখা ভালো অফিসিয়াল এবং আন অফিসিয়াল ফোনের ক্ষেত্রে আসল নকলের কোনো ব্যাপার নেই। উভয়েই আসল ফোন শুধু দেশে কিভাবে বিক্রি হচ্ছে সেটাই হচ্ছে পার্থক্য।
এখন আসি মূল জায়গায়। কোনটা কেনা ভালো হবে।
যদি সুযোগ সুবিধার কথা বলে থাকি, তবে আন অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম অফিসিয়াল ফোনগুলোর তুলনায় কয়েক হাজার টাকা কম হয়ে থাকে। এর কারণ হলো এই ফোনগুলো সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে আসে। যেহেতু সরকারকে কর দেওয়া হচ্ছে না তাই ব্যাবসায়ীরা কিছুটা লাভ নিজের কাছে রেখেই ফোনগুলো বিক্রি করে থাকে। এতে অবশ্য আন অফিসিয়াল ফোন কিনে কিছুটা খরচ বাঁচানো যায়।
কিন্তু অফিসিয়াল ফোনে ধরুন কোনো কারণে সমস্যা দেখা গেলো, তখন আপনাকে ঐ শো-রুম এ গিয়ে ফোনটি ঠিক করাতে হবে যেখান থেকে আপনি কিনেছেন এবং এক্ষেত্রে আপনাকে ফোন ঠিক করে দেওয়ার জন্য তাদের আলাদা চার্জ দিতে হবে। অফিশিয়াল ফোনে যদি এধরণের ক্রুটি দেখা যায় তবে ওয়ারেন্টি থাকা অবস্থায় আপনি যদি ফোনটি ঠিক করাতে চান তবে বিনামূল্যে ঠিক করে দিবে তারা। এটা হচ্ছে অফিসিয়াল ফোনের সুবিধা। এছাড়াও এতে থাকে এক্সচেঞ্জ অফার।
আর সবথেকে বড় কথা হলো, বুঝতেই পারছেন সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে কোনো পণ্য দেশে আসছে আর সরকার তো আর সবসময় বিষয়টা স্বাভাবিক ভাবে নিবেন না। দেখা যাবে একদিন সরকার থেকে ঘোষণা আসলো, আন অফিসিয়াল ফোনগুলো দেশ থেকে ব্যান করে দেওয়া হলো। তখন আন অফিসিয়াল ফোন ব্যাবহারকারীরা অবৈধ ফোন ব্যাবহার করার অপরাধে শাস্তি পেতে পারেন। এদিক দিয়ে অবশ্য অফিসিয়াল ফোন ব্যাবহারকারীরা বেঁচে যেতে পারেন।
সবটুকুই জানলেন। এবার বাকিটা আপনার উপর নির্ভর করে কোন ফোন নেবেন। একটু দাম বেশি পড়বে হয়তো কিন্তু অফিসিয়াল ফোন কিনলে আপনার কোনো ক্ষতি অন্তত হচ্ছে না।
FILED UNDER :তথ্যপ্রযুক্তি
Comments are closed.
One Comment
rafid ahmed rafsan says
akhn bujlm .. thanku.