কুমড়া বড়ি কিভাবে বানাবেন
শীতের অন্যতম একটি খাবার “কুমড়া বড়ি”। যেটা ছাড়া যশোরসহ কিছু এলাকার ভাষায় – শীতের কোন তরকারি মজেনা।
কুমড়া বড়ি বানাতে যা যা লাগবে
মাসকলাইয়ের ডাল চালকুমড়া পাকা একটি উপাদান মাত্র দুইটা কিন্তু প্রসেসিং……..
প্রথমে চালকুমড়া মিহি করে কুচি করে নিতে হবে কুরানি দিয়ে। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে হবে যেন এর টক কস ভাবটা না থাকে। মিহি ভালো না হলে বেটেও নিতে পারেন।
তারপর মাসকলাইয়ের ডাল ৬/৭ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে যেন এর কসটা বের হয়ে যায়। বেশ অনেক সময় ধরে এটা করা লাগবে। না করলে একদমই খেতে পারবেননা।
যখন ডালগুলো সাদা হয়ে যাবে তখন বুঝবেন হয়ে গেছে। তারপর পাটায় বা মেশিনে বেটে নিতে হবে। কারো বাসায় ঢেকি থাকলে আরো ভালো বড়ি হয়। ১ কেজি ডালের সাথে ছোট থেকে একটু বড় সাইজের কুমড়া ভালো হয়। অনেকে কুমড়া বেশী দিতে পছন্দ করে। তারা সেভাবে দিতে পারেন।
একটা বড় গামলায় বাটা ডাল কুমড়া ভালো ভাবে অল্প অল্প করে মিশিয়ে মাখাতে হবে। ডাল মাখাতে মাখাতে একটা ফ্লাপি ভাব আসে। তবে বেশ খানিক সময় লাগে কিন্তু। মাথায় রাখতে হবে বিষয়টা।হাতের সাথেও খানিকটা হালকা ভাব আসে।
দেখে নিন কিভাবে করবেন মিস্টি কুমড়ার কাবাব
তারপর ছাদে বা যেখানে ভালো রোদ পাবে সারাদিন এমন জায়গায় পরিস্কার মশারী বা পাতলা কাপড় পেতে ছোট ছোট করে ছবির মতো করে বড়ি দিতে হবে।
এভাবে দুদিন ভালো ভাবে রোদ লাগলে শুকিয়ে যায়। প্রথম দিন দুপুরের দিকে হাত দিয়ে দেখে যদি মনে হয় একটু শক্ত ভাব হয়ে গেছ তাহলে কাপড় উল্টে বড়ির উল্টোপাশে রোদে দিবেন।
কয়েকদিন রোদে দিলে ইন শা আল্লাহ খাওয়া উপযোগী হয়ে যাবে।
♻বাটাবাটি আগের দিন করে রাখলে ভালো হয়। তাহলে পরেরদিন রোদ বের হওয়ার সাথেই বড়ি দিতে পারবেন।
♻দিনের দিন সকালে যদি বেটে দিতে চান তাহলে সেটাও পারেন। এখন মেশিনে খুব সহজে ডাল বেটে আনা যায়।
♻ কুমড়া, ডাল দুইটায় ভলোভাবে ধুতে হবে। এটা খুবই জরুরী
♻বড়ি কাটার আগে খুবভালো ভাবে মিশাতে হবে, এটা খুব খুব জরুরী। কেক বানানোর সময় ডিমের সাদা অংশ যেমন করি তেমনি আারকি।