পানি পান করলে কি ওজন কমে! নাকি বাড়ে?

ওজন কমাতে চাইছেন? তাহলে বেশি করে পানি খান। পানি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে বরফ ঠান্ডা পানি খেলে শরীর সেটাকে গরম করার জন্য অতিরিক্ত বেশ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে এবং এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা মেদ কমে।

পানি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার আগে পানি পান করলে শরীর কম ক্যালোরি গ্রহণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালে  নাশতা করার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে যদি নিয়মিত ৫০০ এমএল পানি পান করা যায়, তাহলে সহজেই ওজন কমানো যায়। এ ছাড়া দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার আগে যদি পানি খেয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ওজন অনেকটা কমানো সম্ভব।

পানি পান করলে কি ওজন কমে! নাকি বাড়ে?বেশী বেশী পানি খাওয়া কি ঠিক?

পানি পান করলে কি ওজন কমে! নাকি বাড়ে?বেশী বেশী পানি খাওয়া কি ঠিক?

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে জীবনধারাবিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কীভাবে পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

১।পানি ক্ষুধা কমায়। যখন আপনি খাবার খাওয়ার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে এক বোতল পানি পান করবেন, বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার আগে তখন খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীর কম ক্যালোরি গ্রহণ করে।

২।ওজন কমাতে চাইলে আপনার দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো, ক্যালোরি-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে যাওয়া। কোমল পানীয় বা সোডা এড়িয়ে যান। এর বদলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া কফি বাদ দিন, চিনি আছে এমন পানীয়গুলোও বাদ দিন। এগুলোর বদলে বেশ করে পানি পান করুন।

৩।ব্যায়াম করার আগে ও পরে পানি পান করুন। এতে শরীর ভালোভাবে আর্দ্র থাকে। এটি শরীরের জন্য ভালো।

৪।ওজন কমাতে চাইলে দিনে অন্তত ১০ গ্লাসের বেশি পানি পান করুন।

৫।ঘাম কেমন হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি দেখেন ঘাম বেশি হচ্ছে, তখন আবারও পানি পান করুন।

* মস্তিষ্কের ৭০% থেকে ৮০% টিস্যুই পানি দ্বারা পরিপূর্ন। আর তাই যখন শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকে তখন মানুষ বিষন্নতায় ভোগে। তাই মনকে সতেজ ও ফুরফুরে রাখতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।

*পানি মাংসপেশীকে সুগঠিত করে। এছাড়াই মাংসপেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, টান খাওয়া এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে শরীরে পর্যাপ্ত পানির উপস্থিতি থাকা জরুরি। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিত।

পানি পান করলে কি ওজন কমে! নাকি বাড়ে?বেশী বেশী পানি খাওয়া কি ঠিক?

অপকারীতা:

১) অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করলে আপনার শরীরের মোট রক্তের ভলিউম বেড়ে যেতে পারে। আর রক্তের ভলিউম বেড়ে গেলে পুরো শরীরেই এর প্রভাব পরবে। বিশেষ করে হার্ট ও ব্লাড ভেসেল এর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে রক্তের এই বাড়তি ভলিউম।

২) আমাদের কিডনি প্রতিদিন একটি ধরাবাধা নিয়মে পানি ফিল্টার করে। অতিরিক্ত পানি খেলে কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত চাপের ফলে শরীরের ফিল্টারেশন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে দুটি কিডনিই কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকল হয়ে যেতে পারে যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ।

৩) খুব কম সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত পানি পান করে ফেললে রক্তের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা হঠাৎ করে অতিরিক্ত নেমে যায়। কিন্তু কোষের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা ঠিক থাকে। ফলে রক্ত ও কোষের ইলেক্ট্রোলাইটের মাঝে ভারসাম্য রাখার জন্য রক্তের কিছু পানি কোষে ঢুকে যায় এবং শরীর হঠাৎ করেই ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই প্রভাব মস্তিষ্কের উপরের পড়ে এবং ফলাফল স্বরূপ মাথা ব্যাথা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়।

Similar Posts