জীবন কে মধুময় করতে হলে…

আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের থেকে ভিন্ন। আমাদের চলাফেরা, পোশাক-আশাক, চিন্তা ভাবনা সব কিছুই আলাদা। জীবনের মানেটা একেক জনের কাছে একেক রকম। আনন্দের উৎসটাও কিন্তু ভিন্ন। কেউ সাকিব আল হাসানের বিশাল ছক্কাতে আনন্দ খুঁজে পায় কেউ আবার কবিগুরুর লেখা প্রেমের কবিতাতে।


জীবনকে আপনি কিভাবে উপভোগ করছেন সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনার জীবনের আনন্দের উৎস কিন্তু আপনি নিজেই। আপনি নিজেই পারেন আনন্দের মাঝে খুঁজে নিতে সত্যিকারের জীবন। একটা সময় পর প্রত্যেকের জীবনে অন্য একটি মানুষের আগমন ঘটে যাকে নিয়ে চলতে হয় জীবনের পথটুকু। তার ভালোলাগা, খারাপ লাগা সবকিছুকে নিজের করে নিতে হয়। দেখা যায়, তখন সেই মানুষটি ভালো থাকলে নিজেকে তার চেয়েও বেশি সুখী মনে হয়। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে এমন কিছু টিপস নিয়ে যা আপনার বিবাহিত জীবনকে করে তুলবে আরো আনন্দময়।

তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুনঃ
বর্তমানে সকলকে জীবিকার তাগিদে ব্যস্ত থাকতে হয়। কেউ ঘর সামলানোর কাজে ব্যস্ত থাকে কেউ বা অফিসের কাজে। দিন শেষে দেখা যায় নিজেদের জন্য সময় থাকে ভীষণ অল্প। আবার বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় কাটানোর প্রবণতা বেশি দেখা যায়। যেটুকু সময় পাবেন সেটা দুজনের জন্য তুলে রাখুন। দিন শেষে বাড়ি ফিরে সারাদিন কি ঘটলো তা নিয়ে আপনার মনের মানুষটির সাথে গল্প করুন, সে সারাদিন কি করলো তা শুনুন। দেখবেন জীবনটা আরো বেশি উপভোগ করছেন।

সারপ্রাইজ গিফটঃ
উপহার পেতে সবারই ভালো লাগে। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীতে নিশ্চয় তার পছন্দসই কিছু তাকে উপহার দেন। প্রিয় মানুষটিকে উপহার দিতে হলে বিশেষ কোন দিনের প্রয়োজন হয়না। অফিস থেকে ফেরার পথে হাতে করে কয়েকটি গোলাপ বা চকলেট নিয়ে আসুন। যদি সে বইপোকা হয় তবেতো আর কথা নেই। কোন উপলক্ষ্য ছাড়াই স্বামীর পছন্দ মতো খাবারগুলো রান্না করে খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখুন। আর খাওয়ার টেবিলে আসার পর প্রিয় মানুষটি মুখের অভিব্যক্তি দেখুন। এই ছোট ছোট উপহার গুলোই আপনাকে উপহার হিসেবে ফেরত দেবে দারুণ কিছু মুহূর্ত।

একে অপরকে বুঝতে শিখুনঃ
যে মানুষটি সবাইকে ছেড়ে আপনার কাছে এসেছে বা যে মানুষটির সাথে আপনি সারাজীবন কাটাবেন তার চাওয়া পাওয়া গুলো বুঝতে শিখুন। কিসে তার ভালোলাগে বা কিসে মন্দ সেটি জানতে চেষ্টা করুন। যদি মনে প্রশ্ন জাগে তবে তা মনে না রেখে তার সাথে তা নিয়ে আলোচনা করুন। তার ভালো কাজের প্রশংসা করবেন সকলের সামনে আর কিছু ভুল হলে সেটি তাকে বুঝিয়ে বলবেন একান্তে। একটা সম্পর্ক তখনি সুন্দর হয় যখন স্বামী-স্ত্রীর বোঝাপড়ার জায়গাটি মজবুত হয়। এভাবেই তো তৈরি আনন্দময় একটি জীবন।

অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা না করাঃ
ভালো খারাপ নিয়েই জীবন। সব সম্পর্কে তিক্ত কিছু অভিজ্ঞতা থাকে। অতীতকে অতীতের জায়গায় রাখুন। বর্তমানে তাকে টেনে আনতে যাবেন না। এমন কিছু করবেননা যেন একের প্রতি অন্যের সম্মান নষ্ট হয়। বর্তমানকে উপভোগ করতে শিখুন।

একে অন্যের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখুনঃ
আপনি নিজের বাবা মাকে যতটা সম্মান করেন আপনার সহধর্মিণীর পিতা মাতাকেও ততটা সম্মান করুন। তারা তাদের সব চেয়ে প্রিয় মানুষটিকে আপনার হাতে তুলে দিয়েছেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে বলবো, আপনার প্রয়োজনে আপনি সবার আগে পাশে পাবেন শ্বশুর-শাশুড়িকে। তাদের প্রতি যত্নশীল হতে শিখুন। এভাবেই খুঁজে পাবেন আনন্দের মাঝে সত্যিকারের জীবন।

ভ্রমণ করুনঃ
রোমাঞ্চকর কিছু জিনিসের তালিকা তৈরি করতে বলা হয় তাহলে ভ্রমণের নাম থাকবে প্রথম সারিতে। ভ্রমণ আপনাকে আনন্দের সাথে দিবে আপনারা সাথীর সাথে সময় উপভোগের দারুণ সুযোগ। নিত্যদিনের রুটিন থেকে কখনো কখনো ছুটি নিয়ে আপনার পথচলার সাথীটির সাথে ঘুরে আসুন নতুন কোন জায়গা থেকে। তার হাতে হাত রেখে উপভোগ করুন সমুদ্রের গর্জন কিংবা বৃষ্টির ফোঁটা। কি, এখন কি মনে হচ্ছেনা আনন্দের মাঝে খুঁজে নিতে হয় সত্যিকারের জীবন!

Similar Posts