গরুর মাংশের হাঁড়ি কাবাব অথবা হান্ডি কাবাব- পাকিস্তানী স্ট্যাইল

হাঁড়ি কাবাব অথবা হান্ডি কাবাব খুব জনপ্রিয় একটি কাবাব। নান রুটি অথবা পোলাউ এর সাথে এর কম্বিনেশন অনেক জমে। রুটি, পরোটা বা গরম ভাতের সাথে খেয়ে দেখুন! ভুলতে পারবেনা এর স্বাদ! গরুর মাংসের এই কাবাব করে পরিবেশন করুন এই ইদে। সাথে দিন রায়তা এবং অন্য সালাদ। আপনার প্রশংসা শুনতে শুনতে মন ভরে যাবে নিশ্চিত। তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে বানাবেন  গরুর মাংশের হাঁড়ি কাবাব অথবা হান্ডি কাবাব।

হাঁড়ি কাবাব

গরুর মাংশের হাঁড়ি কাবাব বানাতে যা যা লাগবেঃ

গরুর রানের মাংস স্লাইস করা: ১ কেজি

পোস্তদানা বাটা :১ চা চামচ

শুকনা মরিচ : কয়েকটি

বুটের ডাল:১ টেবিল চামচ

কাচাঁ পেপে বাটা: ১ টেবিল চামচ

আদা বাটা এবং রসুন বাটা : ১ টেবিল চামচ করে

ধনিয়া গুড়া : ১ টেবিল চামচ

টক দই : ১/৪ কাপ

লবন পরিমিত

সিরকা – ১ টেবিল চামচ

তেল : পরিমিত

পেয়াজ কুচি : ১ কাপ

তেল/ ঘি : আন্দাজমত অথবা (সরিষার তেলঃ ৪/৫ টেবিল চামচ)

গরম মশলার গুড়া : এলাচ, দারচিনি, জাফল একটি তেজপাতা দুইটি সব একসাথে টেলে ব্লেন্ড করে নিতে হবে

ক্যাপ্সিকাম, শশা, টমেটো ( ইচ্ছা)

গরুর মাংশের হাঁড়ি কাবাব প্রস্তুতপ্রনালী

১। স্লাইস করা রান্নার জন্য মাংসগুলো ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

২। বুটের ডাল সহ সব গরম মশলা গুলো সব টেলে গুড়া করে নিন ।

৩। গুড়ো করা সব মশলা সাথে ধনিয়া গুড়া, টক দই , পেপে বাটা , আদা বাটা, রসুন বাটা সব মাখিয়ে মেরিনেট করে নিন।

৪। তারপর কয়েক ঘন্টা রেখে দিন। আপনি চাইলে ফ্রিজে নরমাল টেম্পারেচারে রেখে দিতে পারেন। এভাবে আরও ভাল মেরিনেশান হয়।

৫।তারপর চূলায় একটি ননস্টিকি প্যানে অল্প আচেঁ মাংস সিদ্ধ বসান । সিরকা দিয়ে দিন। আপনি চাইলে সিরকা বাদ দিতে পারেন। যেহেতু পেঁপে বাটা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সিরকা দিলে হাল্কা টক একটা স্বাদ আসে এবং মাংসের কাঁচা গন্ধ ও চলে যায়।

৬।এবার মাংসে ঢাকনা দিয়ে  ২০/২৫ মিনিট রেখে দিন। মাঝে মাঝে নেড়ে দিন। আগুন থাকবে মাধ্যম আঁচে। মাংস থেকে পানি বের হবে, যদি সেই পানিতে মাংস সিদ্ধ বা নরম না হয়, তবে আলাদা করে আরো এক কাপ গরম পানি দিতে পারেন।

৭। সিদ্ধ হয়ে পানি শুকিয়ে গেলে আরেকটা পাতিলে তেল অথবা ঘি দিয়ে গরম করুন।

৮। তারপর পাতলা করে কাটা পেয়াজ গুলো দিয়ে লাল করে ভেজে নিন । সাথে কয়েকটা শুকনা মরিচ দিন। তারপর এর মধ্যে  বাগার দেয়া পেয়াজ এবং মরিচ মাংসের হাড়িতে ঢেলে দিন। আপনি যদি স্মুদ একটা টেক্সচার চান সেক্ষেত্রে ভেজে রাখা পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে দিন। গাঢ় একটা ঝোল হবে।

৯। কিছুক্ষন জাল দেওয়ার পর আঠা আঠা হয়ে পানি শুকিয়ে তেল মিশে এবং সুন্দর একটা গন্ধ বেরুলে চূলা বন্ধ করে দি্ন ।

১০। এই কাবাবটা হাড়িতে রান্না হয় বলে এটার নাম হাঁড়ি কাবাব। কাবাব রান্না হয়ে গেলে কাঁচা মরিচ, পেয়াজ, ধনেপাতা কুচি,  ক্যাপ্সিকাম, টমেটো স্লাইস দিয়ে পরিবেশন করুন ।

ছিট রুটি বা পিঠার সাথেও এই কাবাব খেতে বেশ মজা !

Similar Posts