প্রিপেইড গ্যাস মিটারের খুঁটিনাটি

 শহরের অধিকাংশ বাসা-বাড়িতেই এখন প্রিপেইড গ্যাস মিটার ব্যবহার শুরু হয়েছে। অজানা বিষয়গুলোর ব্যবহার জানিনা বলেই আমরা ভয় পাই। এর ব্যবহার অত্যন্ত সহজ আর আপনি নিজেই নিয়ম দেখে সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড রিচার্জ করার পদ্ধতিঃ 

১) স্মার্ট কার্ডটি নিয়ে নিকটস্থ একটি “POS” সেন্টারে চলে যান।

২) কার্ডটি সেন্টারের প্রতিনিধিকে দিলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী টাকা প্রদান করেন।

৩) “POS” সেন্টারের প্রতিনিধি টাকার রশিদ ও কার্ডটি ফেরত দিবেন।

কার্ড থেকে মিটার রিচার্জ করার পদ্ধতিঃ

আপনি মিটার বক্সের দিকে তাকালে হাতের বাম পাশের কালো বোতামটি A, ডান পাশের চিহ্ন B। 

১) A বোতামটি ১ সেকেন্ডের একটু বেশি সময় চেপে ধরে ছেড়ে দিন।  

২) পুনরায় ”  A” বোতামটি ১ সেকেন্ডের একটু বেশি সময় ধরে ছেড়ে দিন।

৩) নিশ্চিত হতে হবে, মিটার ডিসপ্লেতে “IN” লেখাটি মিটমিট করে জ্বলছে।

৪)  A ও B বোতামের নিচে খালি জায়গায় মাঝামাঝি কার্ডের সাদা অংশটি চেপে ধরুন।

৫) এই সময় ডিসপ্লেতে  Card লেখাটি ভেসে উঠবে। তবে End না আসা পর্যন্ত চেপে রাখতে হবে।

৬) End লেখা ডিসপ্লেতে ভেসে উঠলে বুঝতে হবে মিটার টাকা রিচর্জ সফল হয়েছে। 

ইমার্জেন্সী ব্যালেন্সঃ 

গ্যাস ফুরিয়ে গেলে সাথে সাথে ২০০ টাকা মূল্যের গ্যাস ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স হিসাবে গ্রহণ করতে নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে পরপর দুইবার ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স নেয়া যাবেনা। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স পেতে অবশ্যই সম্পূর্ণ ব্যালেন্স শেষ হতে হবে।

১) তাৎক্ষনিক ভাবে গ্যাস পেতে B  বোতামটি ৫/৬ সেকেন্ড চেপে ধরুন।

২) ডিসপ্লেতে EC লেখা ভেসে উঠবে।

৩) এবার  A  বেতামটি একবার চাপুন। এখন প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স সচল হবে। এই গ্যাস ব্যবহার করা যাবে ৷  

জরুরী সংকেতঃ

১) EE সহ লাল বাতি জ্বলতে নিভতে থাকবে এবং মিটার বন্ধ হয়ে যাবে। সিসমিক সেন্সরে ভূমিকম্প অনুভূত হলে কিংবা মিটারে জোরালো ধাক্কা লাগলে এরকম হয়। এই সময় B বোতামটি ৫ সেকেন্ড চেপে মিটারটি চালু করতে হবে। 

২) অভ্যন্তরীন গ্যাস পাইপ লাইন লিকেজ থাকলে EO1 এসে ২৪ ঘন্টা পর মিটারে গ্যাস প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীন পাইপ লাইনের চাবি বন্ধ করে দ্রুত তিতাস গ্যাস অফিসে যোগাযোগ করে লিকেজ মেরামতের ব্যবস্থা নিন।

৩) গ্যাসের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে Close ও 0000.00 এলার্ম সিগনাল দিতে থাকবে এবং মিটারে গ্যাস প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এ সময় মিটার রিচার্জ অথবা ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণ করতে হবে।

বিশেষ বিষয়ঃ 

১) প্রথমবারে স্মার্ট কার্ডে তিতাস গ্যাসের পক্ষ হতে অগ্রিম বাবদ  ৫০০ টাকা মূল্যের গ্যাস রিচার্জ করে দেওয়া হবে।  পরবর্তীতে কার্ড রিচার্জের সময় এ অর্থ সমন্বয় করা হবে।

২) মিটার ভাড়া হিসাবে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মাসে একবার ৬০টাকা কার্ড রিচার্জের সময় আদায় করা হবে।

৩) স্মার্ট কার্ডটি হারিয়ে গেলে পুনরায় পেতে “প্রকল্প পরিচালক” বরাবর গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ডুপ্লিকেট স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হবে। এজন্য ১০০০টাকা পরিশোধ করতে হবে যা পরবর্তীতে কার্ড রিচার্জের সময় সমন্বয় করা হবে।

৪) বকেয়া গ্যাস বিল থাকলে নোটিশ প্রাপ্তির ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে তা প্রিপেইড সিস্টেমে সংযোজন করা হবে।

জরুরী নাম্বার সমুহঃ

১) ২৪ ঘন্টা প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্প জরুরি গ্রাহক সেবা-০১৭০৩৭২৯৫০৫,০১৭০৩৭২৯৪৫১,০১৭০৩৭২৯৩৮৯ 

২) ২৪ ঘন্টা তিতাস গ্যাস টি এন্ড ডি কোং লিঃ জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র – (ঢাকা উত্তর)  ০১৯৫৫৫০০৪৯৭,০১৯৫৫৫০০৪৯৮

(ঢাকা দক্ষিন)০১৯৫৫০০৪৯৯,০১৯৫৫০০৫০০

৩) হট লাইন (সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা) – ১৬৮৯৬, ০৯৬১২৩১৬৪৯৬

  

Similar Posts

One Comment

Comments are closed.