নারকেল দুধ দিয়ে চুল সোজা করার ঘরোয়া পদ্ধতি
নারকেল দুধ নারকেল তেলের মতই চুলের জন্য অনেক উপকারী। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নারকেল তেলের চেয়ে নারকেল দুধ ভাল চুলে অনেক ভালো কাজ করে।নারকেলের দুধ প্রাচীনকাল আগে থেকেই ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে । নারকেল দুধে আছে ভিটামিন, মিনারেল, ইলেকট্রোলাইড, অ্যামিনো অ্যাসিড। এ ছাড়া আছে ছত্রাকরোধী (অ্যান্টি ফাঙ্গাল) উপাদান, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল, যা ত্বকের সংক্রমণ দূর করে। এর মধ্যে আরও আছে ভিটামিন সি, বি-১, বি-৫, বি-৬, ই, আয়রন ও প্রাকৃতিক লবণ। তাই এক কথায় বলা যায় যে রূপচর্চায় নারকেল দুধের জুড়ি মেলা ভার।এগুলো চুল পড়া কমায়। সেই সাথে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। পার্লারে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে চুল স্ট্রেইট বা রিবন্ডিং করা হয়, যা চুলের জন্য ক্ষতিকর। তবে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ঘরেই তৈরি করা যায় ‘হেয়ার স্ট্রেইটনিং মাস্ক’ চুল সোজা করার মাস্ক।
নারকেল দুধ দিয়ে চুল সোজা করার মাস্ক তৈরিতে যা যা লাগবে
১ কাপ নারিকেলের দুধ
৫-৬ টেবিল-চামচ লেবুর রস
২ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল
৩ টেবিল-চামচ কর্নস্টার্চ (কর্নফ্লাওয়ার)।
নারিকেলের দুধ বানানোর পদ্ধতিঃ
একটি হিট প্রুফ বাটিতে এক কাপ নারিকেল কুঁচি এবং দেড় কাপ গরম পানি নিয়ে চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ মিশিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন এবং ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে দুধ আলাদা করে নিন। এবার এটি ফ্রিজে রেখে দিন।
মাস্ক বানানোর পদ্ধতিঃ
# নারিকেলের দুধ, অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর অল্প অল্প করে কর্নস্টার্চ ওই মিশ্রণের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। খুব ভালোভাবে মেশাতে হবে যেন কোনো দানা না থাকে।
# এখন মিশ্রণটি অল্প আঁচে চুলায় দিয়ে গরম করতে হবে। এসময় প্রতিনিয়ত মিশ্রণটি নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ পর মিশ্রণটি ঘন ক্রিমের মতো হয়ে যাবে।
# মিশ্রণটি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন। (2 মাস রাখা যাবে)
গোসলের আগে মিশ্রণটি চুলে লাগান। কিছুটা শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
সপ্তাহে দু-বার করে টানা দু-মাস ব্যবহার করলেই চুল স্ট্রেইট বা সোজা হয়ে যাবে। তাছাড়া এই মাস্ক ব্যবহারে চুল ঝলমলে হয় আর সামলানো সুবিধা হয়। (collected)