চিড়া এবং নারকেলের মোয়া বা নাড়ু বানান সহজেই

চিড়া , নারকেল  এবং মুড়ি আমাদের বাঙ্গালীর প্রতিটি ঘরে খুব জনপ্রিয়। শুকনো খাবার হিসেবে সবার ঘরেই থাকে। আর এদের মিশ্রণে অনেক মজার মজার এবং ভিন্ন স্বাদের খাবার বানানো যায়। বাঙ্গালীর উৎসবে চিড়া এবং নারকেলের মোয়া বা নাড়ু  অবশ্যই থাকবে। আর মুড়মুড়ে বা ক্রিস্পি হওয়ায় বাচ্চাদের কাছে খুব প্রিয়। আর একেবারে বানিয়ে রেখে সংরক্ষণ করা যায় বলে গৃহিণীদের কাছে খুব সমাদর এর। আর যারা বাজারের কেক, বিস্কিট খেতে চান না তারা বানাতে পারেন এই ট্র্যাডিশনাল চিড়া এবং নারকেলের মোয়া বা নাড়ু।  চলুন রেসিপি দেখে নেই।

চিড়া নারকেলের লাড্ডু

চিড়া এবং নারকেলের মোয়া বানাতে যা যা লাগছেঃ

চিড়া ৬ কাপ

নারকেল কোড়া ২ কাপ

আখের গুড় ২ কাপ

তেজপাতা ২ টা

মৌরি এক টেবিল চামচ( ইচ্ছে)

দারচিনি বড় ২ টুকরা

ঘি ২ টেবিল চামচ

বাদাম- চিনা বাদাম/ আমন্ড  ১/২ কাপ

কিভাবে বানাবেন চিড়া এবং নারকেলের মোয়াঃ

চিড়া নারকেলের লাড্ডু

১। প্রথমে চুলায় একটা প্যানে উচ্চ তাপে চিড়াগুলাকে হালকা লাল করে ভেজে নিতে হবে।খেয়াল রাখবেন যেন চিড়া পুড়ে না যায়।

২। ভাজা হয়ে গেলে একটি বড় ছড়ানো পাত্রে একদম ঠান্ডা করে ্নিতে হবে।

৩। এবার প্যানে ঘি দিয়ে তেজপাতা, দারচিনি, বাদাম, মৌরি দিয়ে সামান্য একটু ভেজে নিন।

৪। এবার তাতে গুড় দিয়ে সাথে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে গুড় গলিয়ে নিবো।গুড়কে পুরো আঁচে জ্বাল  দিতে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না সিরাটা দুই হাতের মধ্যে নিলে ১ টা সুতার মতো তৈরী হয়।

চিড়া নারকেলের লাড্ডু

৫। চুলার আঁচ কমিয়ে দিবেন এখন।  তারপর আস্তে আস্তে নারকেল আর চিড়াগুলা দিবেন  আর ভালো করে মাখিয়ে নিবেন কাঠের চামচ দিয়ে।

৬। মাখানো হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে ২-৩ মিনিট পর গরম থাকতে থাকতে হাতের তালুতে পানি মাখিয়ে নিয়ে মোয়া বানিয়ে নিতে হবে।

চিড়া নারকেলের লাড্ডু

৭। চিড়া এবং নারকেলের মোয়া বা নাড়ু গুলা এয়ার টাইট বক্সে ভরে ১৫-২০ দিন খেতে পারবেন।

৮। আপনি ইচ্ছে করলে নারিকেল ছাড়াও বানাতে পারবেন।

৯। চিনা বাদাম দিতে হলে আগে ভেজে নিবেন।

১০। মুড়ি দিয়েও একই ভাবে মোয়া বা নাড়ু বানানো যায়।

১১। গুড় না থাকলে চিনি দিয়েও করতে পারবেন এই চিড়া এবং নারকেলের মোয়া।

Similar Posts