অসম্ভবকে সম্ভব করতে যা জানতে হবে
তুমি কি অসম্ভবকে সম্ভব করতে চাও? তবে শোনো, Santiyago Ramon Y Cajal কে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয় ১১বছর বয়সে। এখন তাকে Father of Modern Neurosciene বলা হয়। তিনি ছিলেন দুর্বল আর্টিস্ট, যার ব্রেইন সবসময় আস্তে আস্তে কাজ করত। পরবর্তী সময় এই Santiyago- ই হয়ে ওঠেন নিউরোসাইন্টিস্ট। তার আঁকা বিভিন্ন আকৃতির নিউরনের ছবি এখন শিক্ষার্থীদের পড়ার কাজে ব্যবহার করা হয়।
অসম্ভবকে সম্ভব করার মত অজস্র উদাহরণ আমরা আমাদের আশেপাশে দেখতে পাই। অথচ আমরা জানিনা কোন পদ্ধতির মাধ্যমে তারা সফল হয়েছিল। আজ এমনই কিছু বিষয় উল্লেখ করব, ছাত্রজীবন কিংবা কর্মজীবন উভয় ক্ষেত্রেই এর যথাযথ ব্যবহার তোমাকে সফল করবে।
পমোডরো/Pomodoro: 1980 সালে ইতালিয়ান ফ্রান্সিসকো চিরিল্ল ২৫ মিনিট গভীর মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ কিংবা অধ্যায়ন করার এই “পমোডরো” টেকনিক আবিষ্কার করে। এই ২৫ মিনিট অন্য সব কিছু বন্ধ থাকবে,মোবাইল,ছোট ভাই,খেলার মাঠ অথবা হালকা খাবার। এই সময়ের মধ্যে অন্য চিন্তাও মাথায় আনা যাবে না।
২৫ মিনিট পর ৫ মিনিট বিরতি। এই ৫ মিনিট তুমি যা খুশি করতে পার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি বিরতি নিয়ে নিও না।
৫ মিনিট বিরতির পর পুনরায় ২৫ মিনিট মনোযোগ দিতে হবে। নির্দিষ্ট বিষয় থেকে ব্রেইন অন্যদিকে সরে গেলে পুনরায় মনোযোগী হওয়ার ব্যর্থতা আমাদের অনেকেরই আছে। ৫ মিনিটের এই অমনোযোগী ব্রেইনকে আবারও মনোযোগী হতে অভ্যস্ত করাই পমোডরো টেকনিকের সফলতা।
মেটাফোর/ Metaphor: এটা হচ্ছে একটা বিষয়ের সাথে অন্য বিষয়ের তুলনা করা। যেমন- সে সাগরের ঢেউয়ের মতো পরিচিত। তুলনা করে অথবা উপমার সাহায্য কোনো বিষয়কে মনে রাখলে ব্রেইন সহজে লিংক তৈরি করতে পারে,ব্রেইনের কাজ হচ্ছে লিংক তৈরি করা। এতে বিষয়বস্তু মনে থাকার স্থায়ীত্ব বেশি হয়। (যদি কোনো মেটাফোর উপযোগী না হয়, তাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন মেটাফোর তৈরি করতে হবে)
রি-কল/Re-Call: সহজ অর্থে “পুনরায় ডাকা”। সাধারণভাবে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা একটানা না পড়ে নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা থেকে একটা/দুইটা (এর বেশি না) শব্দ নিয়ে ব্রেইনে খেলা করা অথবা শব্দ করে উচ্চারণ করা। প্রধান শব্দগুলো বলে দেয় মূল বিষয়টি কি। এতে একটা শব্দ দিয়ে অনেকটা বিষয় মনে রাখা সম্ভব।
কাজ এখানেই শেষ নয়। দিনের অন্যান্য সময় এই শব্দগুলো রি-কল করতে হবে।
Make picture: Nelson Dellis (US) চারবার memory champion হয়। অবাক হচ্ছ? এটা সম্ভব। তারও আমাদের মত সাধারণ ব্রেইন। কিন্তু সে মনে রাখার জন্য ব্রেইনে বিশেষ লিংক তৈরি করে নেয়। কোনো কঠিন কঠিন আলাদা বিষয়কে একটা ঘটনা বানিয়ে একটা ছবির মাধ্যমে মনে রাখে। ব্রেইন ছবি সহ বিষয়কে দ্রুত মনে রাখতে পারে,যেরকম ছোট সময় আমাদের শেখানো হত, এই ছবিটা দেখ,এটা হচ্ছে বার্ড। এটাকে বলে কাউ। আমাদের চিন্তার আড়াল হওয়া এই টেকনিকগুলো বেশ কার্যকর।
সবশেষে একটাই কথা,অধ্যবসায়। লেগে থাকতে হবে। নিয়মিত চর্চা করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।