আপনার ঘরের যেসব ইনডোর প্ল্যান্ট বাতাসের টক্সিন শুষে নেয়
দিন দিন আমাদের এই পৃথিবী উত্তপ্ত এক গ্রহে পরিণত হচ্ছে। আর কতদিন এটি আবাসযোগ্য থাকবে তা একটি বড় প্রশ্ন। দূষণের মাত্রা এতোটাই ,কিছু দেশে তো কৌটা ভরে বাতাস বিক্রয় হচ্ছে! এই অবস্থায় একটু টাটকা বাতাস এর জন্য আমাদের ঘরে আমরা কিছু পরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারি যারা শুধু অক্সিজেনই দিবেনা পাশাপাশি আপনার ঘরের দূষণ ও কমিয়ে দিবে ৬০% । চলুন চিনে নেই আমাদের সেই সব সৈনিকদের যারা তখনও তাদের কাজ চালিয়ে যায় যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকেন।
১।স্পাইডার প্ল্যান্টঃ
এরা খুব কম আলোতে সালোকসংশ্লেষণ করতে পারে ফলে অক্সিজেনের যোগান দিতে পারে ২৪ ঘণ্টা। একটি গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার জায়গার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে। তাছাড়া স্টাইরিন, গ্যসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম এই গাছ।
২। স্নেক প্ল্যান্টঃ
এই গাছের তেমন কোন যত্ন নিতে হয়না। পানি অথবা আলোর বিশেষ প্রয়োজন নাই,তাই সহজে মরে যায়না। রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করে পাশাপাশি বাতাসের টক্সিন ও দূর করে। আপনার বেডরুম এ রাখার জন্য আদর্শ গাছ এটি।
৩। পিস লিলিঃ
বাতাসের টক্সিন শুষে নেয় খুব দ্রুত বিশেষ করে ট্রাইক্লোরথাইলিন এবং ফর্মালডিহাইড জাতীয় টক্সিন। নিশ্চিন্তে ঘরে রাখুন এই যোদ্ধাকে।
৪। আইভিঃ
নাসার বিজ্ঞানীদের মতে প্রত্যেকটি ঘরে এই প্ল্যান্ট থাকা উচিত কারণ ঘরের বাতাসের ৬০% টক্সিন এবং ৫৮% দুর্গন্ধ দূর করে এই প্ল্যান্ট।
৫। ফিকাসঃ
এটি ঘরে টাটকা বাতাসের যোগান দেয়। খুব একটা পানি এবং আলোর দরকার হয়না। খুব ভালো বাতাস পরিষ্কার করতে পারে। কিন্তু যাদের ঘরে ছোট বাচ্চা অথবা পোষা প্রাণী আছে এই প্ল্যান্ট ঘরে রাখবেন না, কারণ এই গাছের পাতায় বিষক্রিয়া হতে পারে।
৬। আল্যোভেরাঃ
মাত্র একটি গাছ ৯টি বায়োলজিক্যাল এয়ার পিউরিফায়ার ক্যানের কাজ করে। ঘরের মধ্যের অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে এর জুড়ি নাই। ঘরের মধ্যে থাকা কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইড, ফর্মালডিহাইড এর মতো টক্সিন শুষে নেয় নিমিষে।