চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে ৭টি ঘরোয়া পদ্ধতি
(লেখা কপি করার কারণে এই লেখক কে বাংলা ভাইব থেকে ব্যান করা হয়েছে। আর এই লেখার মূল সোর্স এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=Jkgw-BXdM9g)। আমাদের অগোচরে প্লাগারাইজড কন্টেন্ট সাইটে পাবলিশ হয়ে যাওয়াতে আমরা অডিয়েন্সের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)
চোখের তলায় দাগ পড়লে সেটা আমাদের মুখের সৌন্দর্যের উপর ঠিক কতটা ইফেক্ট ফেলে তা আমাদের কারোরই অজানা নয়। চেহারার সৌন্দর্যের অনেকাংশই ম্লান করে দেয় এই চোখের নিচের কালো দাগ। আজকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় এর টিপস শেয়ার করবো যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার চোখের তলায় ডার্ক স্পর্টস রিমুভ হতে পারে। তো চলুন শুরু করা যাক-
হোম রেমেডি নাম্বার ওয়ান- ঠান্ডা শসা
প্রথমে আপনাকে গোল করে কাটা দুটো শসার টুকরো নিতে হবে তারপর সেটাকে ত্রিশ মিনিটের জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ত্রিশ মিনিট পর সে টুকরো দুটোকে ফ্রিজ থেকে বের করে রাতে ঘুমানোর আগে দশ মিনিট চোখের পাতার উপর রেখে দিতে হবে এবং ফাইনালি দশ মিনিট পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে চোখ দুটো ধুয়ে ফেলতে হবে। পরদিন সকালে উঠেই আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার চোখটা কতটা ফ্রেশ লাগছে।
কারণ শসাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজ রয়েছে এবং এতে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে রয়েছে। যেটা চোখের নিচে স্কিনে ডার্ক স্পটসগুলোকে রিডিউস করে আর স্কিনটাকে আরো ব্রাইট আর পরিষ্কার করে তুলে। তাই রাতে প্রতিদিন শোয়ার আগে অবশ্যই এই রিমেডিটি ইউজ করুন।
হোম রেমেডি নাম্বার টু- অ্যান্টি এজিং আই ক্রিম (ANTI AGEING EYE CREAM)
খুব সহজেই এই ক্রিমটা ঘরোয়া উপায়ে বানিয়ে ইউজ করা যায়। আর এটা ইউজ করলে চোখের নিচে ডার্ক স্পটস-এর সাথে সাথে WRINKLES-ও রিমুভ হবে।
প্রথমে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তার মধ্যে হাফ চামচের একটু কম পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন দিয়ে তাতে চার থেকে পাঁচ ড্রপ নারকেল তেল মেশান। এরপর দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে তার মধ্যে যে তেল মতো জিনিসটা থাকে সেটা বের করে মিক্সারটা মিশিয়ে নিন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল যে কোনো ওষুধের দোকানে এভেলেবেল। তাও যদি সমস্যা হয় তাহলে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর জায়গায় গ্লিসারিনও ইউজ করতে পারেন। এবার মিক্সারটাকে ভালো করে মিশিয়ে সেটাকে কোনো পরিষ্কার কনটেইনারে সাত থেকে দশ দিন স্টোর করে রাখুন। দশ দিন পর এই ক্রিমটাকে রাতে শোয়ার আগে চোখের তলায় চোখের উপরে পরিষ্কার হাতে হালকাভাবে ক্লকওয়াইজ এবং অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ মাসাজ করুন।
এর মধ্যে যে এলোভেরা জেল আছে সেটা চোখের কাছে যে সেনসিটিভ স্কিন সেটাকে হাইড্রেটেড আর মশ্চারাইজ করে। আর এটার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রোপার্টিজও রয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাসলিন হয়েছে যেটা চোখের কাছে ড্রাই স্কিনগুলোকে হাইড্রেটেড রাখে। আর ড্রাই স্কিনের ফলে যে WRINKLES হয় সেগুলোকেও রিমুভ করে। এতে যে কোকোনাট অয়েল আছে তাতে ভিটামিন আর ফ্যাটি এসিডস আছে যেটা হেলদি স্কিন সেলসগুলোর গ্রোথ-এর জন্য খুবই উপকারী। আর এতে যে ভিটামিন ই অয়েল রয়েছে সেটা চোখের আশেপাশের স্কিনটাকে হার্মফুল বা মুখে যে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল প্রোডাক্টগুলো ইউজ করা হয় সেগুলো থেকে বাঁচায় আর ডার্ক স্পটসও রিমুভ করে। তাই পারলে এই ক্রিমটাকে প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে লাগান আর ঘুম থেকে উঠে নর্মাল পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এরপর দেখবেন আপনার স্কিন ব্রাইটও লাগছে আর আপনার ডার্ক স্পটস WRINKLES সেগুলোও কমতে থাকছে।
হোম রেমেডি নাম্বার থ্রি- শসার রস এবং গোলাপ জল মিক্সার
প্রথমে হাফ ইঞ্চি মতো শসা নিয়ে সেটাকে ভালোভাবে কুড়িয়ে সেটা থেকে রস বের করে নিন। এরপর ওই শসার রসের মধ্যে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিক্সারটাকে তুলোর সাহায্যে চোখের নিচে স্কিনে এপ্লাই করুন। এরপর পনেরো মিনিট মতো পর নরমাল পানিতে ধুয়ে ফেলুন। আর এটা সপ্তাহে দুইদিন ইউজ করলেই যথেষ্ট। গোলাপ জল স্কিন টোনার হিসেবে খুবই উপকারী। আর এটা স্কিনকে ব্রাইটও করে তুলে।
হোম রেমেডি নাম্বার ফোর- টমেটো
একটা টমেটো নিয়ে সেটাকে কুড়িয়ে তার থেকে এক চামচ মতো রস বের করে নিন। এরপর এর মধ্যে এক চামচ লেবুর রস মিশান। এরপর সেটাকে চোখের নিচে চোখের পাতার উপর হালকা হাতে মাসাজ করুন। তারপর দশ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। আপনি এটা সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করতে পারেন।
হোম রেমেডি নাম্বার ফাইভ- মধু
রাতে প্রতিদিন শোয়ার আগে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর হাতের আঙ্গুলে অল্প কিছুটা মধু নিয়ে চোখের তলায় আর ডার্ক স্পটসগুলোর উপর হালকা করে লাগান। মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রোপার্টিজ আছে আর এটা একটা ব্লিচিং এজেন্টও। যার ফলে ডার্ক স্পটসগুলোর দূর হয়ে যেতে থাকে আর WRINKLES এবং চোখের তলাটা যে ফুলে থাকে যেটাকে পাফিনেস বলে সেটাকেও কমাতে সাহায্য করে।
হোম রেমেডি নাম্বার সিক্স- বাদাম তেল
রোজ রাতে শোয়ার আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে তারপর আঙ্গুলে করে বাদাম তেল নিয়ে আস্তে আস্তে চোখের তলায় চোখের উপরে লাগান এবং ক্লকওয়াইজ ও অ্যান্টি-ক্লকওয়াইজ মাসাজ করুন। বাদাম তেলে ভিটামিন কে আছে যেটা স্কিনকে ব্রাইট আর হেলদি বানাতে সাহায্য করে। আর এতে ভিটামিন ই-ও আছে যেটা ডার্ক স্পটসগুলোকে রিমুভ করতে সাহায্য করে।
হোম রেমেডি নাম্বার সেভেন- ইয়োগা অর মেডিটেশন
প্রচন্ড স্ট্রেস, ডিপ্রেশন আর অস্বাস্থ্যকর ভাবে জীবন যাপন করার ফলেও চোখের তলায় কালি পড়তে পারে। আর চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। আর যদি আপনি আপনার মনকে শান্ত আর ঠান্ডা না রাখতে পারেন তাহলে কোনরকম রেমেডি’ই কাজ করবেনা। তাই মনকে ঠান্ডা আর শান্ত রাখার জন্য প্রতিদিন মেডিটেশন বা ইয়োগা করা অবশ্যই এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো একটা হোম রেমেডি।
সবশেষে আপনার জন্য স্পেশাল পাঁচটা টিপস যেগুলো যদি আপনি সবসময় ফলো করে চলতে পারেন তাহলে আপনাকে চোখের তলায় কালি পড়া নিয়ে আর কোনোদিন ভাবতেও হবে না।
- টিপস নাম্বার ওয়ান- কখনো চোখ বেশি ডলবেন না।
- টিপস নাম্বার টু- মুখে মেকআপ থাকলে সেটাকে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে তারপর ঘুমাবেন।
- টিপস নাম্বার থ্রি- অ্যালকোহল বা সিগারেট জাতীয় নেশার জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
- টিপস নাম্বার ফোর- দিনের বেলা যখনই রোদে বাইরে যাবেন তখন সানগ্লাস ইউজ করুন। কারণ, আমাদের চোখের স্কিন ভীষণই নরম আর সেনসিটিভ হয়। তাই সরাসরি সূর্যের আলো চোখে যতটা না পরে ততোই বেটার।
- টিপস নাম্বার ফাইভ- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন। আজ এ পর্যন্তই।