আপনি কি আন্ডারওয়েট? জেনে নিন ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকরী উপায়

বর্তমানে যদিও নব্বই শতাংশ মানুষ অতিরিক্ত ওজনের কারণে নানানরকম সমস্যার সম্মুখীন, কিন্তু তারপরও দশ শতাংশ মানুষ রয়েছেন যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।

ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যাঁরা আন্ডার ওয়েট বা হার্ড গেইনার , ওজন বাড়ানোর জন্য তাঁদেরও কিছু পরামর্শ মেনে চলা উচিত। চলুন জেনে নেই  ওজন বাড়ানোর  সহজ এবং কার্যকরী কিছু উপায়—

How-to-Gain-Weight

নিয়মিত ব্যায়াম করা :

আপনি ওভারওয়েট, আন্ডারওয়েট বা স্বাভাবিক, যেটাই হয়ে থাকুন না কেন, আপনার নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা অবশ্যই করা উচিত। ওজন কম বলেই যে বেশি বেশি খেতে হবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ওজন বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম রয়েছে, নিয়মিত সেগুলোর চর্চা করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

বার বার অল্প পরিমাণে খাবার গ্রহণ করা :

প্রতি এক থেকে দুই ঘন্টা পর পর কিছু না কিছু খাবার গ্রহণ করুন। তবে অবশ্যই সেটা পুষ্টিকর খাবার হতে হবে। শর্করা, আমিষ জাতীয় খাবার এবং বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রাখুন খাদ্যতালিকায়। এর সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিও পান করতে হবে প্রতিদিন।

বেশি বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করা :

ওজন কমানোর জন্য আমরা কম ক্যালোরি গ্রহণ করি এবং বেশি বেশি ক্যালোরি বার্ন করি। আর ওজন কমানোর বেলায় করতে হয় উল্টোটা। আপনি যতটা ক্যালোরি বার্ন করবেন, তার দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালোরি আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

বেশি করে ড্রাই ফ্রুটস গ্রহণ করা :

ড্রাইফ্রুটে বিদ্যমান ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু ড্রাই ফ্রুটস, যেমন- কাজুবাদাম, কিসমিস, আমন্ড, পেস্তা বাদাম ইত্যাদি রাখুন, দেখবেন এক মাসের মধ্যেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।

দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার চেস্টা করা :

বর্তমান যুগে এটি বেশ কঠিন একটি কাজ হলেও আমাদের সবসময় টেনশন ফ্রি থাকার চেস্টা করা উচিত। অতিরিক্ত চুলপড়া থেকে শুরু করে ওজন কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম এই দুশ্চিন্তা। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা বাদ দিন।

জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলা :

হোটেল, রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু অস্বাস্থ্যকর খাবার অনেকেই খাওয়ার পরামর্শ দেন ওজন বাড়ানোর জন্য। এসব খাবার খেলে মাসল ডেভেলপ করবেনা, শুধুই আপনার ভুড়ি বাড়বে, যেটা চরম ক্ষতিকর ব্যাপার। তাই এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।

বেশি বেশি গুড ফ্যাট গ্রহণ করা :

ফ্যাট দুই ধরনের রয়েছে— ১. LDL বা ব্যাড ফ্যাট, যেমন— সয়াবিন তেল, ২. HDL বা গুড ফ্যাট, যেমন— ঘি, মাখন, ডিম ইত্যাদি। প্রতিদিন কিছু গুড ফ্যাট গ্রহণ করলে ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

পরিমিত ঘুম নিশ্চিত করা :

রোজ রাতে সাত থেকে আট ঘন্টার ঘুম সকলের জন্যই উপকারী। ঘুম ভালো না হলে অনেক সময় মাথা ঝিমঝিম করে, খাওয়ার রুচি কমে যায়। এজন্য খেয়াল রাখুন রাতের ঘুমটা যেন ভালো হয়।

সবশেষে বলা যায়, ওজন কমানোর মতো ওজন বাড়ানোটাও বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ধৈর্য্য ধরে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললেই দেখবেন আপনার ওজন ধীরে ধীরে ঠিকই বৃদ্ধি পাবে।

Similar Posts