ক্র্যাশ ডায়েট কতটা বিপদজনক জানেন কী?
“তোমাকে মোটা লাগছে” এর চেয়ে কস্টদায়ক কমপ্লিমেন্ট মনে হয় আর নাই। আর প্রিয়জন যদি মুখের উপর বলে দেয় এইকথা তাহলে তো জীবন অর্থহীন! আমাকে মোটা বলসে! তারমানে অন্য স্লিম কাউকে তার পছন্দ! আমি তাহলে বেশী খাই! ব্যাস, শুরু করো ক্রাশ ডায়েট। খানাদানা সব বন্ধ আজ থেকে। এইভাবেই শুরু হয় এক একটা কাহিনী।
জানেন কি? এভাবে কোন পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া না খেয়ে থাকার এই মিশন কতটা ঝুঁকিতে আপনাকে ফেলছে! ওজন কমানোর সহজ সমাধান হোল একটা ছোট অঙ্ক। কত ক্যালরি গ্রহণ করছেন আর কত ক্যালরি বার্ন করছেন। বাকিটা জমা হচ্ছে আপনার শরীরে। এখন সবার শরীর এক রকম না। আপনি হটাৎ সব ছেড়ে দিলে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে শরীরে।
ক্রাশ ডায়েট মানে হচ্ছে, কঠোর খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শরীরের ওজন কমানো যা বিপজ্জনক ডায়েট হিসেবে বিবেচিত। কারন এর মাধ্যমে শরীরে পুষ্টি ও মিনারেলের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। কারণ এক্ষেত্রে মূলত শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে ওজন কমানোর পরিবর্তে ডিহাইড্রেশন হয়ে ওজন কমে। ফলে শরীরে তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয়। তাছাড়া শরীরের গুরুত্বপূর্ণ পেশী প্রোটিন ভেঙ্গে যায়!
এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী ক্রাশ ডায়েট শরীরের ভাইটাল অঙ্গসমূহ যেমনঃ হৃদপিণ্ড, বৃক্ক, যকৃত ও মস্তিস্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
ক্র্যাশ ডায়েটের ফলে আরও যেসব সমস্যা দেখা দেয় তা হলোঃ
১. অস্থিরতা,
২. ক্রমাগত মাথা ঘোরা,
৩. ঘুম না হওয়া
৪. পেটে ব্যথা
৫. শারীরিক দুর্বলতা
৬. রক্তশূন্যতা
৭. সবকিছুতে আগ্রহ হারানো
৮. মানসিক চাপে ভোগা
৯. চেহারায় ক্লান্তির ছাপ পড়া
১০. ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়া অথবা ত্বকের সজীবতা হারানো ফলে বুড়ো মানুষের মত হয়ে যায় চামড়া।
১১. চুল পড়তে শুরু করা
১২. পেটের চামড়া সহ শরীরের অনান্য অংশের চামড়া ঢিলা হয়ে ঝুলে যায়।
তাই বোকামি করবেন না যা কিছু করবেন সব প্ল্যান করে করবেন। একজন পুস্টিবিদ আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন এ ব্যাপারে – কি খাবেন, কি খাবেন না। আর তার সাথে লাগবে শরীরের সাথে মানানসই ব্যায়াম। সে এই ব্যায়াম করে তাই আমিও করব এমনটা যেন না হয়।
পৃথিবীতে আপনি অদ্বিতীয়। তাই আপনার ডায়েট চার্ট এবং ওয়ার্ক আউট হবে আপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।