মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুর প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার!

বাচ্চার জন্মের পর পিতামাতাকেই সন্তানের স্বাস্থ্য এবং খাবার নিয়ে চিন্তা করতে হয়। আর সন্তান হচ্ছে পিতামাতার জন্যে এমন একজন, যার জন্যে পিতামাতা যা দরকার তাই করতে রাজি থাকেন এবং যেকোনো মূল্যে টাকা পয়সা খরচ করতে দ্বিধা করেন না। আর বাচ্চার যত্নেরর কথা উঠলে স্বাস্থ্য এবং খাবার দাবারই চলে আসে সবার আগে। বাচ্চা যে খাবারগুলো খেয়ে অভ্যস্ত, সেগুলো খেলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা না, তবে, বাচ্চাকে যদি নতুন কোন খাবার খাওয়ানোর কথা ভাবেন, তাহলে অবশ্যই সেদিকে নজর দিতে হবে একটু বেশি। কারণ, নতুন খাবারে আপনার বাচ্চা তেমন অভ্যস্ত না, সেটা তার পেটে নাও সয়তে পারে। তাই, যাই খাওয়ান না কেন, সেটি আপনার বাচ্চার জন্যে কতটুকু উপকারি, বা স্বাস্থ্যসম্মত সেটা বিবেচনা করে খাওয়াবেন। তাই, আজকের লেখাটি এক বছরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সময়ের খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

বাচ্চার প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার
বাচ্চার প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার
মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশু-বাচ্চার প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার

বাচ্চার স্বাস্থ্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, খাবার দাবারও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, খাবার দাবারের উপরেই নির্ভর করে বাচ্চার সঠিক বৃদ্ধি এবং সুস্থতা। জন্মের পর থেকে বাচ্চাকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উত্তম। আর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মায়ের দুধের পাশাপাশি সুজি, পাতলা খিচুড়ি খাওয়াবেন। তবে, মনে রাখবেন, বাচ্চার বয়স যখন ৮ মাসের বেশি হয়ে যাবে, তখন এসব খাবারের সাথে আরও অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারেন। এবং খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এবং এসময় প্রয়োজন পরে পুষ্টিকর খাবার। এতে করে বাচ্চার দ্রুত এবং সঠিক বৃদ্ধি হয়। কিন্তু বাচ্চা যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার না পায়, তাহলে বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়। তাই, মায়ের দুধ, সুজি এবং পাতলা খিচুড়ির পাশাপাশি অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোয় বিশেষ নজর দিতে হবে।

 

অন্যান্য খাবার খাওয়া শিখে গেছে বলে মায়ের বুকের দুধ খওয়ানো বন্ধ করে দিলে চলবে না। কারণ, বাচ্চার ২ বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সম্ভব হয়, শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়াতে পারেন। এবং এসবের সাথে সেরেলাক, পিডিয়া সিউর, কাস্টার্ড খাওয়াতে পারেন। তবে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।

 

বাচ্চার খাবারের পরিমাণ ঠিক রাখবেন। এবং যেহেতু এর মধ্যে খাবারের স্বাদ বুঝতে শিখে গেছে, সেহেতু বাচ্চাকে সুস্বাদু খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে অবশ্যই পুষ্টিকর। যেমন তেমন খাবার খাওয়ালে চলবে না। আপনার বাচ্চার পছন্দ এবং অপছন্দের ব্যাপার থাকতে পারে। তাই, আপনার বাচ্চা যেটা খেতে পছন্দ করে সেটি খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। কারণ, বাচ্চার যদি খাওয়ার রুচি না থাকে, বা, তারা কি খাচ্ছে সেটা না জানে, তাহলে সেই খাবার বাচ্চার দেহে কোন কাজই করবেনা।

 

বাচ্চাকে অবশ্যই পরিষ্কার জায়গায় খেলাধুলা করতে দিবেন এবং এসময় বাচ্চার হাতে রুটি টুকরো করে হাতে ধরিয়ে দিবেন, যাতে করে সে নিজে নিজে খেতে পারে। বাচ্চাকে অবশ্যই ফ্রেশ খাবার খাওয়াবেন। কখনই পুরনো এবং বাসি খাবার খাওয়াবেন না। এটি বাচ্চার জন্যে অনেক ক্ষতিকর। তাই, বাচ্চাকে সবসময় নির্ভেজাল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানোই সচেষ্ট হোন।

Similar Posts