অ্যালোভেরা কীভাবে ব্যাবহার করবেন চুলে এবং রুপচর্চায়
অ্যালোভেরা যুগ যুগ ধরে চুল এবং রুপ চর্চায় ব্যবহার হচ্ছে। লোককাহিনী থেকে জানা যায়, সৌন্দর্যবর্ধন করে যে প্রকৃতিকন্যা, তার লাতিন নাম এলোভেরা ওরফে ঘৃতকুমারী। আর এটাই হলো মিসরের টলেমি রাজবংশের সম্রাজ্ঞী, কূটনীতিক ও পরে সীজার পত্নী ক্লিওপেট্রার ত্বক সৌন্দর্যের গোপন রহস্য।স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যে এর ব্যবহার আজকের নয়। প্রাচীন কালেও রানী ক্লিওপেট্রা, সম্রাট আলেকজান্ডার, বাদশাহ সোলায়মান, নেপোলিয়ন এবং ক্রিস্টোফার কলম্বাসের মত বিখ্যাত মানুষেরা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতেন।
অ্যালোভেরা গাছ দেখতে কেমন
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছটা দেখতে অনেকটাই কাঁটাওয়ালা ফণীমনসা বা ক্যাকটাসের মতো। ক্যাক্টাসের মত দেখতে হলেও, ক্যাক্টাস নয়। এটা একটা লিলি পরিবারের উদ্ভিদ যেমন পেঁয়াজ ও রসুন। এর পাতাগুলো বর্শা আকৃতির লম্বা, পুরু ও মাংসল।
পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ রকমের অ্যালোভেরা জন্মে, তবে মাত্র দু’রকমের অ্যালো বানিজ্যিক ভাবে চাষ করা হয়।কৃত্রিম কারখানায় বা কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যা অত্যাধুনিক এলোভেরা নামে বেরিয়ে আসে তারচেয়ে বরং ঘৃতকুমারী সজীব টাটকা অবস্থাতেই সবচেয়ে দ্রুত উপকার করে। কারখানায় বানাতে গিয়ে তাপ প্রয়োগ করতে হয়, ওটাকে অনেকদিন ঠিক রাখার জন্য আবার এনজাইম যোগ করতে হয় তাতে ঘৃতকুমারী কম কাজ করে।
অ্যালোভেরা কীভাবে ব্যাবহার করবেন
গোটা বিশ্ব জুড়ে এই গাছের জুস বা রস ক্যাপসুল বা জেলের আকারে বিক্রি হচ্ছে। এই জেলের ভেতরে আছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা থেকে বিজ্ঞানীরা বলেন প্রাণের সৃষ্টি। এই ২০ অ্যামিনো অ্যাসিডের আটটি দেহের মাঝে তৈরি হয় না। এটা বাইরে থেকে খাদ্যের আকারে গ্রহণ করতে হয়। এটা আসে ঘৃতকুমারী থেকে। এটা ত্বকে পড়লে ত্বকে একটা উজ্জ্বল আভা আসে, তরতাজা হয়ে ওঠে আপনার ত্বক। এটা দেহের কোনো অংশ পুড়ে যাওয়া সারাতেও ব্যবহার হয়। কাজেই জলপাই তেলেরও আদর্শ বিকল্প এটি। রেডিয়েশন বার্ন সারাতেও এর ব্যবহার হয়েছে বলে এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে।
মেছতা দূর করার একটি উপাদান হলো ঘৃতকুমারী পাতার জেল। এই জেলের রয়েছে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করার ক্ষমতা। আক্রান্ত স্খানে আঙুলের ডগার সাহায্যে ধীরে ধীরে জেল ঘষে লাগাতে হবে এবং সারা রাত লাগিয়ে রাখতে হবে। এভাবে কয়েক সপ্তাহ লাগালে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে।
ফর এভার লিভিং কোম্পানী বিশ্বের সর্ববৃহৎ অ্যালোভেরা উৎপাদক এবং এর পণ্য প্রস্তুতকারক। ওরা প্রায় ৫,০০০ একর জমিতে তারা এর চাষ করে। বিশ্বের মোট চাষের প্রায় ৮০% নিয়ন্ত্রণ করে ফরএভার লিভিং। ওরা প্রায় ২০০+ পণ্য তৈরী করেছে অ্যালোভেরা থেকে। অ্যালোভেরা মানুষের শরীরের জন্য যে কতটা উপকারী তা নিয়ে গুগলে সার্চ দিলে হাজার হাজার তথ্য বেরিয়ে আসবে।
বাজার থেকে দাম দিয়ে এলভেরার জেল/ ফেইস ওয়াশ না কিনে সরাসরি এর পাতা থেকে জেল লাগালে ব্রণ এক সপ্তাহে কমে, এটা আমি নিজে পরিক্ষা করেছি।