মানুষ আপনাকে অপছন্দ করার ৬টি কারণ এবং আপনার করণীয়!

(লেখা কপি করার কারণে এই লেখক কে বাংলা ভাইব থেকে ব্যান করা হয়েছে। আর এই লেখার মূল সোর্স এই ভিডিও (https://www.youtube.com/watch?v=YomCnfing48&pbjreload=101)। আমাদের অগোচরে প্লাগারাইজড কন্টেন্ট সাইটে পাবলিশ হয়ে যাওয়াতে আমরা অডিয়েন্সের কাছে আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।)

অনেকেই মনে করেন জনপ্রিয়তা অর্জন করতে ট্যালেন্টের প্রয়োজন হয়। আর যারা সবার কাছে জনপ্রিয়, তারা এই গুণ নিয়েই জন্মেছে। অনেকেই মনে করে থাকে, তাকে কেউ পছন্দ করে না কারণ, তার এটা দূর্ভাগ্য। সে হয়তো স্পেশাল কেউ না তাই তাকে কেউ পছন্দ করেনা। এটা আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।

আপনি ইচ্ছা করলেই সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন এবং অন্যরা আপনাকে অপছন্দ করার বদলে পছন্দ করা শুরু করবে। অন্যের পছন্দের পাত্র হওয়া নির্ভর করে আপনার মন-মানসিকতা ও আচার-ব্যবহারের উপর। এগুলো কন্ট্রোল করতে পারলেই আপনার আর কোনো হেটার্স থাকবে না। মানুষের পছন্দের পাত্র হওয়ার জন্য যেমন অনেকগুলো বিষয় মেনে চলতে হয়, তেমনি কিছু অভ্যাসও ত্যাগ করতে হয়। তো চলুন জেনে নিই সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে-

১. ইমোশন কন্ট্রোল

আমরা বেশির ভাগই আমাদের আবেগের সঠিক ব্যবহার করতে জানিনা। আমাদের ইমোশনগুলোকে কোথায় কিভাবে প্রকাশ করতে হবে, সেটাও জানি না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দুটি সিনারিও দেখা যায়।
একটি হচ্ছে ইমোশন সম্পূর্ণভাবে নিজের ভেতর চেপে রাখা।
আর অন্যটি হচ্ছে, পুরোটাই প্রকাশ করা এবং সব সময় নিজের ইমোশন নিয়েই আলোচনা করা।

প্রথমটির ক্ষেত্রে দেখা যায়- আপনার সামনের ব্যক্তির সাথে আপনার ইমোশন প্রকাশ করলেন না। যার কারণে আপনার সাথে তার কেমন আচরণ করা উচিত, সেও সেটা জানলো না। ফলে, তার আচরণ আপনার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হতে পারে। আর তার কাছে কিছু প্রকাশ না করে চুপচাপ থাকার কারণে, সেও আপনাকে ভুল বুঝতে পারে।

দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে- আপনি যদি সবসময় আপনার ইমোশনের কথা কারো কাছে প্রকাশ করতে থাকেন, তবে প্রথম দিকে সহানুভূতিশীল হলেও,  একসময় সে বিরক্তি বোধ করতে থাকবে। ইমোশন পুরোপুরি হাইড করা বা সম্পূর্ণ এক্সপ্রেস করা, দুটোই অন্যের কাছে প্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সুতরাং, আপনার ফিলিংস অবশ্যই অন্যের কাছে শেয়ার করুন। তবে সবসময় না। আপনি কেমন মুডে আছেন, সেটা অন্যকে বোঝার সুযোগ করে দিন।

২. অন্যের কথায় বাঁধা দেয়া

যেকোনো আড্ডায় বা আলোচনায় সবাই চায় মনোযোগের কেন্দ্র হতে। এই সময়ে আপনি যদি কারো কথাকে বারবার থামিয়ে দিয়ে, নিজের কথা বলার চেষ্টা করতে থাকেন, তবে আপনি খুব স্বাভাবিকভাবেই তার অপছন্দের তালিকায় চলে যাবেন। নেক্সটাইম, কেউ যদি আপনাকে গল্প বলা শুরু করে, যেটা আপনি অলরেডি জানেন, তবে তাকে থামিয়ে দেবেন না, তাকে শেষ করতে দিন। কেউ যখন আপনাকে তার সমস্যার কথা বলতে আসে, তখন তার কথায় বাঁধা দেবেন না। কারণ, সে চাচ্ছে- আপনি তার কথাগুলো শুনেন। অন্যের কথায় বাঁধা দেয়ার মানে দাঁড়ায়, আপনি তাকে মূল্যায়ন দিচ্ছেন না। আপনার সাথে কেউ এমন করলে, আপনিও তাকে অপছন্দ করবেন।

৩. অতিরিক্ত প্রশ্ন করা

যখন আপনি একটি কথোপকথনের ভেতর থাকেন, তখন টপিকের উপর প্রশ্ন করা ভালো। এর মানে দাঁড়ায়- আপনি বিষয়টিতে খুব আগ্রহী। তবে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে, যেন প্রশ্ন করার মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে না যায়। আপনি যদি সামনের ব্যক্তির মতামতের কোনো তোয়াক্কা না করেন, আর তাকে যদি কিছু বলার সুযোগ না দেন, তবে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে যান যে সেই ব্যক্তি আপনাকে মনে মনে অপছন্দ করা শুরু করবে। আপনাকে অবশ্যই কনভারসেশনকে ব্যালেন্স করতে হবে। যেকোনো ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

৪. ধার করা জিনিস ফেরত দিতে ভুলে যাওয়া

এটি অনেকের কাছেই খুব হালকা বিষয় মনে হলেও, এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যখন আপনি কারো কাছ থেকে যেকোনো কিছু ধার করেন, সেটা হতে পারে- টাকা-পয়সা, বই বা যেকোনো কিছু। এটা দ্রুত সম্ভব ফেরত দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি সেটা কাপড় হয়, তবে সেটা পরিষ্কার করে তারপর ফেরত দিন। আর টাকার ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে তার চাওয়ার আগেই নিজে থেকে সেটা ফেরত দেওয়া। আপনি যদি ভুল-মনা হয়ে থাকেন বা ইচ্ছে করেই এমন করে থাকেন, আর মনে মনে এটা ভেবে থাকেন যে এটা আর এমন কি? তবে এটি আপনাকে অন্যের কাছে অপছন্দের পাত্র বানিয়ে দেবে।

৫. বিল দেয়ায় অনীহা

গবেষণায় বলছে ৯৯.৯৯% মানুষই ওই বন্ধুটিকে অপছন্দ করে, যে কিনা সহজে কোনো বিল দিতে চায় না। এটা খুব সাধারণ ভদ্রতা। আপনি যখন কোনো গ্রুপের সাথে কোনো রেস্টুরেন্টে যাবেন, তখন অবশ্যই বিল দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব রাখবেন। টাকা-পয়সা সব সময় একটু সেনসিটিভ জিনিস। কেউই চায় না, যে সে ইউজড হোক। সুতরাং, তাদের এমন ভাবার সুযোগ দেবেন না, যে তাদের আপনি ইউজ করছেন। যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, তবে বন্ধুদের সাথে বারবার খেতে যাওয়া কমিয়ে দিন। এতে তারা বুঝতে পারবে আপনি কি কারণে তাদের সাথে ঘুরতে যাচ্ছেন না। ফলে, আপনার প্রতি তাদের সহানুভূতি তৈরি হবে।

৬. সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত শেয়ার

গবেষণায় উঠে এসেছে- যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যতো বেশি পোস্ট করে থাকে, তারা রিয়েল লাইফে ততো বেশি গুরুত্ব হারায়। তারা অ্যাটেনশন চায় এবং আশা করতে থাকে, যে তাদের পোস্টে মানুষ লাইক কমেন্ট করুক। কিন্তু এটা করতে গিয়ে তারা উল্টোটা অর্জন করে বসে। অর্থাৎ, মানুষ তাকে অপছন্দ করা শুরু করে। আপনাকে যদি কেউ বলে, আপনার প্রতি মুহূর্তের আপডেট তাকে জানাতে হবে, আপনি কি সেটা পছন্দ করবেন? ঠিক তেমনি আপনার প্রতি মুহূর্তে কি করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কি খাচ্ছেন সেটা অন্যের টাইমলাইনে বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনাকে তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এড়িয়ে চলতে শুরু করবেন। বাস্তব জীবনেও একই ঘটনা ঘটে। আপনার যদি এমন কোনো স্বভাব থেকে থাকে, তবে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু ঠান্ডা মাথায় ভাবুন.. আপনি নিজেও তো আশেপাশের এমন মানুষদের পছন্দ করেন না। তাহলে অবশ্যই নিজেকে পরিবর্তন করা উচিত।