নারীর যত্ন, নিজের যত্ন
একজন নারী,একজন নারীর কত রুপ হয়। মা মেয়ে অথবা একজন বউ আবার চাচী খালা দাদী নানী কত কিছু হয়।একজন নারী আবার একজন ভালো বন্ধু ও হয়।এই নারীদের ই কেউ কেউ কর্মজীবী হয় আবার কেউ কেউ গৃহিনী ও হয়।
এই নারীর পরিচয় যাই থাকুক না কেন,প্রায় প্রতিটা নারীই অন্যান্য সকল ব্যস্ততার ভীড়ে নিজের শরীরের নুন্যতম যত্ন নেবার সময় টুকু ও বের করতে পারেন না।যুগ যুগ ধরে কালের আবহমান পথ ধরে আমরা নারীরা হেটে চলেছি সেই মা খালাদের আগের দেখনো পথেই,অপরের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়া।সংসার,স্বামী বাচ্চা পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য অথবা অফিসের সারাদিনের কাজের ভীড়ে আমরা সময় পাই কই নিজের শরীর টাকে একটু সময় দেবার?
না পাঠক এভাবে আর চলতে দেয়া যাবে না। এখন যুগ পাল্টেছে,মানুষ অনেক আপডেট হচ্ছে প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে। আগে যেখানে মেয়েরা কুঁড়িতেই বুড়ি হয়ে যেতো এখন কেউ কেউ চল্লিশেও বুড়ি হয় না।
তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের শরীরের যত্ন নেবার,নিজেকে আরেকটু সময় দেবার সময় এখন নিজেকেই বের করে নিতে হবে।
চলুন আজকে আমাদের শরীরের যত্নে বেশ কিছু টিপস ফলো করি।
১.প্রথমেই আপনাকে মানসিকভাবে কনফিডেন্ট এবং সচেতন হতে হবে আপনার শরীরের ব্যাপারে।
২.খাওয়াদাওয়া পরিমিতভাবে এবং নিয়মিত ভাবে করতে হবে। মনে রাখবেন নিজেকে সুস্থ্য এবং সুন্দর রাখতে চাইলে রিচ ফুড অথবা জাঙ্কফুড যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে।
৩.আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বিয়ের পরে,বাচ্চা হবার পরে অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া রোধে নিজেকেই চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজন হলে ব্যায়ামাগারে ভর্তি হওয়া যেতে পারে।
৪.অবশ্যই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে চলতে হবে।
সপ্তাহে তিন থেকে চার বার চুল শ্যাম্পু করতে হবে। হাতের পায়ের নখ প্রতি সপ্তাহে একবার শেপ করে কেটে নিতে হবে।
আনওয়ান্টেড আন্ডার হেয়ার ও প্রতিমাসে একবার ক্লিন করে নিতে হবে।
৫.প্রতিদিন সকালে একটি করে সেদ্ধ ডিম,এবং রাতে ননীতোলা একগ্লাস হালকা গরম দুধ খেয়ে নিলেও ভালো হবে।এ অভ্যাসটা নিয়মিত চর্চায় থাকলে হাড়ের সমস্যা বা অস্টিওপরোসিস থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
৬.প্রচুর দেশীয় ফলমূল এবং শাক সবজি খান,মাছ খেতে হবে প্রচুর।
৭.ভারী মেকাপ নিলে অবশ্যই ক্লিনজার দিয়ে মেকাপ তুলে পসিবল হলে ভালো করে শাওয়ার নিয়ে ঘুমুতে হবে।
৮.প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি খেতে হবে,এবং অন্তত আট ঘন্টা ফ্রেশ ঘুম দিতে হবে।
এবং যেসব জিনিস করা যাবে না সেগুলো হলোঃ
১.ধুমপান এলকোহল ইত্যাদি এড়িয়ে যাবেন।
২.ভারী মেকাপ এড়িয়ে যাবার চেস্টা করবেন।মনে রাখবেন ভারী মেকাপে স্কিন এবংচোখের মারাত্মক ক্ষতি করে।
৩.মুখে জোরে জোরে ঘসে ঘসে কোন স্নো পাউডার ক্রিম ইত্যাদি লাগাবেন না।
৪.অত্যাধিক কসমেটিকস ব্যবহার করবেন না।
৫.বাইরে বের হবার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন মুখে ও হাতে।প্রয়োজনে ছাতা নিয়ে নিন সাথে।
৬.অযথা পার্লারে বেশী বেশী যাবেন না,ব্লিচ বা গোল্ডেন ফেসিয়াল এভোয়েড করুন।
৭.চুলে কালার বা রঙ করা থেকে বিরত থাকুন।
৮.প্রতিদিন মুখে ফেসওয়াস লাগাবেন না।আর স্কার্বার সপ্তাহে দুদিনের বেশী তো নয়ই।
৯.বাইরের খাবার খাবেন না। হুটহাট সামনে যা পান একটু আধটু খেয়ে পেটের বারোটা বাজাবেন না।
১০.সর্বোপরি নিজের শরীরটাকে হেলায় ফেলবেন না।
আপনি এখন ভালো আছেন,ভালোভাবেই চলছেন।
মনে রাখবেন আজকে বিশ বাইশ বছর দেখে আপনি নির্দ্বিধায় চলতে পারছেন কিন্তু এখন থেকেই যদি নিজের শরীরের যত্ন না নেন একটা সময় এই ফিট শরীরটাই ভেঙে পরবে। তখন আর ডাক্তারের কাছে দৌড়িয়ে লাভ হবে না। আর বিভিন্নরকম সাপ্লিমেন্টেও কাজ হবে না।
তাই সময় থাকতে এখনি সচেতন হোন। নিজের শরীরের যত্নে শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও একটু খানি সময় বের করে নিন।
জানেন তো নিজের শরীর ভালো থাকলে তখন সবাইকে সাপোর্ট দেয়া যায়, আর একবার শরীর খারাপ হয়ে গেলে তখন আর সাপোর্ট নেয়ার মত কাউকেই পাওয়া যায় না।
ধন্যবাদ
নিজের জন্য সময় থাকে ঠিকই। খালি অলসতার সাথে পেরে উঠতে পারিনা। কিন্তু পোস্টটার জন্য ধন্যবাদ আপু। আমি ফলো করার চেষ্টা করবো।