কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিকে নিজের প্রতি আকর্ষিত করবেন

কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন আকর্ষণ করার জন্য আমাদেরকে কিছু না কিছু করতেই হয়। যাদেরকে আপনার দরকার নেই শুধু শুধু তাদের মন নিশ্চয়ই আপনি  আকর্ষণ করতে চাইবেন না। তাই না?
কেননা তাদের ভাবনা দিয়ে আপনার কিছু যায় আসে না। কিন্তু ব্যাপারটা যদি অফিসের বসের হয় তখন কিন্তু আপনার মধ্যে সবসময় একটা চেষ্টা থাকে নিজের প্রতি তাকে আকর্ষণ অনুভব করানো। আজকের আর্টিকেলটিতে কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মন আকর্ষণ করার জন্য কি কি করা যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তো চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।

how-to-get-attention-of-important-person


সর্বপ্রথম আপনাকে মার্জিত পোশাক পরিধান করতে হবে

পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে সব সময় কিন্তু ফ্যাশন স্টাইল ইত্যাদি মেনে চলা লাগে না। যেমন আপনি যদি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী হন আপনার কিন্তু স্কুল ইউনিফর্ম পড়েই সেখানে যেতে হবে। আপনি এখানে পাঞ্জাবি কিংবা শাড়ি পড়ে যেতে পারবেন না। ঠিক সেরকমই অফিশিয়াল কাজকর্ম বুঝে সেই ধাঁচের পোশাক আপনাকে পড়তে হবে। তবে খুব চোখে লাগার মত পোশাক পরবেন না। এতে আপনাকে দেখে আপনার সামনের ব্যক্তি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যেতে পারে। আপনার ড্রেসিং সেন্স এমন করতে হবে যাতে আপনাকে দেখে প্রথমেই আপনার সামনের ব্যক্তি বলে উঠেন ” বাহ মানুষটা বেশ চমৎকার!”

আসলে কথায় আছে না, আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী। আশা করি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।

কথাবার্তার শুরুটা সালাম দিয়ে হোক

আপনার সামনের ব্যক্তির সাথে যে বিষয়ে কথা বলতে চান না কেন আপনার উচিত কথার শুরুটা সালাম দিয়ে করতে। কেননা সালাম এমন একটা বাক্য যেটা সামনের মানুষকে সম্মানিত অনুভব করায়। আর যদি আপনি অন্য ধর্মাবলম্বীদের অন্তর্ভুক্ত হন সে ক্ষেত্রে নমস্কার আদব ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই।

প্রথম সাক্ষাতে আপনি করে বলুন

ইংরেজিতে অপর পক্ষকে সম্বোধন করার জন্য যেরকম শুধুমাত্র একটা শব্দ You ব্যবহার করতে হয়, বাংলার ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকম না। বাংলাতে  সাধারণত সম্মানিত ব্যক্তিদের আপনি করে, কাছের মানুষদের তুমি করে, এবং সবথেকে বেশি কাছের মানুষদেরকে তুই বলে সম্বোধন করা হয়। সুতরাং আপনি যার সাথে অফিশিয়াল কাজকর্ম বিষয়ে কথা বলেছেন অবশ্যই সে আপনার কাছে অতি সম্মানীয় ব্যক্তি। তাই শুরুতে তাকে আপনি করে বলা শুরু করবেন।

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক রাখুন

আপনি যখন আপনার সামনের ব্যক্তির সাথে কথা বলবেন, চেষ্টা করবেন বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা ঠিক রাখতে। অতিরিক্ত হাত পা নাড়ানো, অতিরিক্ত হাসা, কিংবা অতিরিক্ত এক্সাইটমেন্ট দেখানো কিন্তু আবার ভালো না।

মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনুন

আপনি যার সাথে কথা বলছেন আপনার উচিত তার চোখে একজন ভালো লিসেনার হওয়া। সে কি বলছে তা একদম মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কথা বলার সময় আপনার ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রেখে একমাত্র তাঁর কথায় মনোযোগ দিন। এতে করে আপনার সাথে কথা বলতে তার আগ্রহ বেড়ে যাবে।

প্রথম দেখায় হাসি দেবেন

হাসি এমন একটা জিনিস যা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলতে পারে। যার সাথে জীবনে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছেন তার সাথে কথা বলায় একটু নার্ভাসনেস কাজ করবে। এটাই স্বাভাবিক। তার সাথে কথা বলতে আপনার যেরকম সংকোচ বোধ হচ্ছে আপনার সাথে কথা বলতেও তার সেরকম সংকোচ বোধ হচ্ছে। তাই হাসি দিয়ে পরিস্থিতিটাকে না হয় আপনিই প্রথমে ঠান্ডা করুন। তার সাথে দেখা হলে একটু মুচকি হাসি দিন। এতে করে আপনার সামনের মানুষটি সহজ হয়ে যাবে এবং আপনিও নিজেকে সহজ বোধ করবেন।

কনভারসেশন শেষ হলে একটা ছোট কমপ্লিমেন্ট দিতে ভুলবেন না

যখন আপনাদের সাক্ষাৎ একেবারে শেষ পর্যায়ে তখন চেষ্টা করুন বের হয়ে যাওয়ার পূর্বে তাকে একটি ছোট কম্প্লেমেন্ট দেওয়ার। যেমন তার পোশাকটি সুন্দর ছিল কিংবা তার পারফিউমের ঘ্রাণ অসাধারণ ছিল কিংবা তার সাথে কথা বলে আপনার ভালো লাগলো অথবা তার যে কোন একটি বিষয় আপনার নজর কেড়েছে সেটা তাকে জানান। সকল মানুষ নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। তাই আপনি যদি তার একটি আকর্ষণীয় দিক সম্পর্কে তাকে জানিয়ে দিন এবং প্রশংসা করেন ব্যক্তি আপনার ওপর খুব খুশি হবে।

সুপ্রিয় পাঠক, উপরোক্ত বিষয়গুলো যদি আপনি আপনার নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারেন তবে খুব জলদি অর্থাৎ অতি অল্প সময়ের মধ্যে যে কোন ব্যক্তির মন জয় করতে পারবেন। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আজ তাহলে এখানেই ইতি টানছি, ধন্যবাদ।

Similar Posts